আইপিএম ঘাড়-কোমর ব্যথার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অনেক কোমর ব্যথার রোগী মাসের পর মাস ব্যথার ওষুধ খেয়েও সুস্থ হতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে রোগীকে যদি সমন্বিত চিকিৎসা বা আইপিএম প্রদান করা যায় তবে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। অনেকের ক্ষেত্রে বিশ্রামও চিকিৎসার অংশ। ফিজিওথেরাপি নিচ্ছেন অথচ প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিচ্ছেন না, তাতে চিকিৎসা কাজে না লাগার আশঙ্কাই বেশি। আইপিএমের উদ্দেশ্য হলো যার ক্ষেত্রে যে চিকিৎসা প্রয়োজন তা পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রদান করা এবং রোগীর ব্যথা সাময়িক নয়, স্থায়ীভাবে কমানো। এ ক্ষেত্রে যেমন চিকিৎসককে দক্ষ হতে হবে, তেমনি রোগীকেও চিকিৎসকের পরামর্শ শতভাগ মেনে চলতে হবে। কাঁধের ব্যথা বা ফ্রোজেন সোল্ডারেও আইপিএম কার্যকর। যদিও ফ্রোজেন সোল্ডার সেলফ লিমিটিং ডিজিজ তবুও এই ব্যথা দীর্ঘ মেয়াদে মানুষকে কষ্ট দেয়। ব্যথা শুরু হওয়ার তিন থেকে ছয় মাস সময়ের মধ্যে রোগীরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায়। এ ব্যথার যন্ত্রণায় রোগী রাতে ঘুমাতে না পারা মারাত্মক ব্যাপার। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারলে ডায়াবেটিস বেড়ে গিয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই কাঁধে ব্যথা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে আইপিএম শুরু করা উচিত।
– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/149467#sthash.LMcdAxib.dpuf