
আজ শনিবার ‘জঙ্গী-সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই দাবি জানান।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের তথাকথিত কবরসহ স্থপতি লুই আই কানের মূল নকশা বহির্ভূত কবরগুলো সরিয়ে ফেলার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জমিতে নিড়ানি দিয়ে যেভাবে আগাছা পরিস্কার করা হয়, ঠিক সেভাবে চিরদিনের মতো জঙ্গীবাদকে নির্মূল করতে হবে। জঙ্গীবাদের মদতদাতাদের রুখে দিতে হবে।
ইসলামে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের নির্দেশিত পথে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই। যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এবং ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে তারা জামায়াত ও মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, গুলশানে জঙ্গী হামলায় যারা মানুষ হত্যা করেছে, শোলাকিয়ায় মানুষ হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছিল- তাদের উদ্দেশ্য একটায় ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন রুদ্ধ করার জন্য এই অপশক্তি দেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর অপচেষ্টা করছে বলে মন্ত্রী বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চাইনি, স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, বিভিন্ন সময়ে এই নাম সেই নাম নিয়ে জেএমবি, বাংলা ভাইসহ নানা নামে তারা দেশে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস লালন-পালন ও বিস্তারের চেষ্টা করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা সম্ভব হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দলের নেতা কর্মীরা আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো: গনি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হোসনে আরা বেগম বাবলী এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, সমাজকর্মী শাহনাজ শারমিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা অরুন সরকার রানা, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন পরিষদের নেতা হারুন অর রশীদ।