প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হুসাইন উন্নততর ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত, অগ্রীম ও আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আহ্বান জানান। তিনি প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তিনি সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে কর্মক্ষেত্রে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদেরকে দায়িত্বশীল হতে এবং বৈশ্বিক জ্ঞান আহরণের জন্য উপদেশ দেন। তিনি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নততর গ্রাহকসেবা দিয়ে ব্যাংকের ব্যবসা বৃদ্ধির জোর তাগিদ দেন যাতে বিদ্যমান প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে পূবালী ব্যাংকের অবস্থান সুদৃঢ় থাকে। সম্মেলনে প্রদানকৃত দিক নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকের কর্মকান্ডে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম চৌধুরী ব্যাংকের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য শাখা ব্যবস্থাপকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি খেলাপী ঋণ, শ্রেণীকৃত এবং অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সচেষ্ট হতে এবং নতুনভাবে কোন ঋণ যাতে কোন অবস্থাতেই খেলাপী বা শ্রেণীভুক্ত না হয় সে দিকে সকল শাখা ব্যবস্থাপকদের বিশেষ নজরদারি ও নিবিড় তত্ত্বাবধানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো বলেন, ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যবসা আরো অধিকতর মাত্রায় সম্প্রসারণের সুযোগ আছে, তা অর্জনের জন্য তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দকে পরামর্শ ও তাগিদ প্রদান করেন। তিনি আমদানী ও রফতানী কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংগে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকের রেমিট্যান্স ব্যবসা বাড়ানোর উপরও জোর দেন যাতে বিদ্যমান প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে পূবালী ব্যাংকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।
সম্মেলনে বিভিন্ন শাখার সফলতার উপর এবং ২০১৬ সালের ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন কৌশল ও দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।