খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬: সুনামগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকার (উত্তর সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর) সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্ বলেছেন, যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন শুধু ধর্মীয় বা দৈনন্দিন আচার অনুসঙ্গই নয় বরং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শারীরিক সুস্থতা,সাফল্য ও প্রশান্তির পাশাপাশি আত্মার বিকাশ সাধনের জন্যও মেডিটেশন চর্চা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ভারতে যোগ ব্যায়াম প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর থেকে সরকার করারোপ প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু আমাদের দেশের এবারের বাজেটে মেডিটেশন তথা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উপর সরকার করারোপ করতে চায় বিষয়টি ডাঃ মনিরুজ্জামান ও আমার বন্ধু কায়সার মেহেদীর কাছ থেকে জানতে পেরে আমি বিষয়টি নিয়ে মনোযোগী হই এবং অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করি। পরে বিষয়টি বিরোধী দলীয় নেত্রী ও এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সাহেবের নজরে আনি। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন হচ্ছে আত্মিক প্রতিষ্ঠান। ভারতে যোগব্যায়ামের উপর যেহেতু কোন কর ধার্য করা হয়নি। আমাদের বাজেটেও মেডিটেশনের উপর করারোপ করা যাবেনা। অর্থমন্ত্রী আমার বক্তব্যটি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করে মেডিটেশনের উপর থেকে করারোপ প্রত্যাহার করে নেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ শাখার হাছননগরস্থ কার্যালয়ে জাতীয় সংসদে মেডিটেশনের উপর করারোপের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখায় ফাউন্ডেশনের গ্রাজুয়েট সদস্য হিসেবে তাকে দেয়া এক শুভেচ্ছা সংবর্ধনার জবাবে এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্ একথা বলেন। এসময় ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এডভোকেট বজলুর রশীদ,এডভোকেট চাঁন মিয়া, সাংবাদিক আল-হেলাল,এডভোকেট এনাম আহমেদ,দেওয়ান তসদ্দুক রাজা চৌধুরী ইমন,সরোয়ার আহমদ,ইজাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ শাখার নির্বাহী ও গ্রাজুয়েট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমপি মিসবাহ্ আরো বলেন,কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন হচ্ছে সত্যিকার অর্থে আর্ত মানবতার সেবায় নিবেদিত একটি আত্মিক প্রতিষ্ঠান। এর প্রবর্তক আমাদের গুরুজী একজন সৎ বিচক্ষণ গুনী মানুষ। যিনি তার সকল কথা চিন্তা চেতনা শুধু মানুষের কল্যার্ণেই ব্যায় করে থাকেন। তার সমস্ত আবেগ চিন্তা চেতনা দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং বাঙ্গালী জাতিকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,কোয়ান্টামের একজন সদস্য হিসেবে আমি সবসময় একটি কথা আমল করার চেষ্টা করি আর সেটি হচ্ছে “রেগে গেলেনতো হেরে গেলেন”। আগে রাগ করতাম এখন রাগের যুক্তসঙ্গত কারণ থাকলেও রাগ বর্জন করার চেষ্টা করি।
উল্লেখ্য সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ২৮৬ তম ব্যাচের গ্রাজুয়েট।