Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬:  মাল্টা ও পেয়ারা চাষ করে বদলে গেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্রখৈইর গ্রামের ফল চাষী জাহেদুল ইসলামের ভাগ্য। বানিজ্যিকভাবে পেয়ারা আর মাল্টা চাষ করে তিনি এখন লক্ষপতি। জেলায় হাতে গোনা যে’কজন মাল্টা ও পেয়ারা চাষী রয়েছেন জাহেদুল ইসলাম তাদের মধ্যে অন্যতম। জেলার একজন অনুকরনীয় ফল চাষী হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই সবার নজর কেড়েছেন। মাটিতে যে সোনা ফলে তা তিনি বানিজ্যিকভাবে পেয়ারা ও মাল্টা চাষ করে প্রমান করে দিয়েছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ফল চাষ করেও স্বাবলম্বী হওয়া যায় এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
মাল্টা ও পেয়ারা চাষী জাহেদুল ইসলাম জানান, সেনাবহিনীর চাকরী থেকে অবসর গ্রহনের পর ফল চাষের উপর প্রশিক্ষন গ্রহন করেন তিনি। ২০১৩সালে প্রথম স্বল্প পরিমান জমিতে বানিজ্যিকভাবে পেয়ারা, মাল্টা ও কুলের চাষ শুরু করেন। স্থানীয় কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনা ও সহযোগীতায় ঐবছর তিনি ৫বিঘা জমিতে মাল্টা ও পেয়ারার চারা রোপন করেন। এর মধ্যে ১০কাঠা জমিতে মাল্টা ও সাড়ে ৪বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করেন। পাশাপাশি রোপন করেন বরইয়ের চারা।
জাহেদুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তিনি বানিজ্যিকভাবে মাল্টা ও পেয়ারা উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। প্রথম বছরই তিনি ঐ প্রজেক্ট থেকে ৩০হাজার টাকার মাল্টা এবং প্রায় ৭লক্ষ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম চাষে মাল্টা ও পেয়ারা বেশ লাভবান হওয়ায় ২০১৫সালে চাষের জমি বাড়িয়ে ২০বিঘায় মাল্টা আর পেয়ারার চারা রোপন করেন। এর মধ্যে ১বিঘা জমিতে মাল্টা ও ১৯বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করেন। এই প্রজেক্টে তার প্রায় ২৫লক্ষটাকা খরচ হলেও চলতি বছর তিনি ঐ প্রজেক্ট থেকে প্রায় ২লক্ষ টাকার মাল্টা ও ৫০লক্ষ টাকার পেয়ারা বিক্রি করে স্বাবলম্বীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন। আর মাত্র তিন বছরের মাথায় নিজ এলাকাসহ জেলায় একজন সফল ফলচাষী হিসেবে তার খ্যাতি অর্জন করেছেন।
জাহেদুল ইসলাম বলে, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মাল্টা ও পেয়ারা ক্রয়ের জন্য এখানে আসেন ব্যবসায়ীরা। মাল্টা ও পেয়ারা চাষ খুবই লাভজনক। প্রায় সারাবছরই মাল্টা বিক্রয়ের উপযোগী থাকে। জেলার সফল ফলচাষী জাহেদুল ইসলাম ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে মাল্টা ও পেয়ারা বাগান করার স্বপ্ন দেখেন যেখানে আরো অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, উপজেলায় যে ক’জন চাষী রয়েছেন তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। আমার কৃষি বিভাগ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।