শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসব মুখর পরিবেশে মেহেরপুর উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। সকাল আটটা থেকে জেলার বিভিন্ন ঈদগাহে ঈদের জামাত শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা সকাল দশটার মধ্যে শেষ হয়। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশ^ মুসল্লিম উম্মার কল্যাণে চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা।

এবারের ঈদের খুতবার পরে বাংলাদেশসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেন ঈমামবৃন্দ। ইসলামের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা এসব জঙ্গিবাদ ইসলামের শত্রুদের সৃষ্টি আখ্যা দিয়ে এর থেকে সতর্ক থাকার আহবান জানান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

জেলা শহরে ঈদের প্রধান পৌর ঈদগাহে সকাল আটটায় ও দ্বিতীয় প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় পুরাতন ঈদগাহ ময়দানে।

পৌর ঈদগাহ ময়দানে ঈমামতি করেন বড় বাজার জামে মসজিদের ঈমাম আব্দুল হান্নান। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক সংলগ্ন পুরাতন ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাতে ঈমামতি করেন হাফেজ মাও. রোকনুজ্জামান। পৌর ঈদগাহ ময়দানে মহিলা জামাতে ঈমামতি করেন হাফেজ মাও. আব্দুল করিম।

এদিকে সকাল আটটায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। ঈমামাতি করেন মাও. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয় প্রধান জামাত একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় চৌগাছা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। ঈমামতি করেন গাংনী দারুস সালাম জামে মসজিদ ঈমাম হাফেজ মাও. রুহুল আমিন।

এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে প্রায় হাজার দশেক মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন মানিকদিয়া এগারপাড়া ঈদগাহ ময়দানে। জেলার সর্বমোট ১৫৮ টি ঈদগাহসহ বিভিন্ন মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেন।