ঈদুল আযহার নামাজ শেষে মেহেরপুর জেলার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখন পশু কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত। গ্রাম থেকে শহর, কোরবানির নির্দিষ্ট স্থান ছাপিয়ে অলিগলি সবখানেই যেন কোরবানির ধূম। সাধ্যমত গরু, ছাগল, ভেড়া ও মোষ কোরবানিতে ব্যস্ত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তার অনুগ্রহ লাভই হচ্ছে পশু কোরবানির মূল উদ্দেশ্যে। বিশিষ্ট আলেমদের মতে, মহান আল্লাহর প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য, ভালবাসা, ক্ষমা আর আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়াই পশু কোরবানির উদ্দেশ্য। এর মধ্য দিয়ে মনের ভেতরের পশুত্ব ও কলুষতাকে কোরবানি করার শিক্ষা দেয় ঈদুল আযহা। তাই প্রতিযোগিতা কিংবা লোক দেখানো কোনও কিছু করা নয়, কোরবানির শিক্ষা অন্যায় অবিচার রুখে দেওয়া এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো।
আর তাইতো পশু কোরবানির পর তার নিয়মানুযায়ী নিজের অংশ রেখে আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী ও ফকির-মিসকিনদের মধ্যে বন্টন করছেন কোরবানীকারীরা।
জেলা শহরের ২৮টি, গাংনী শহরে ১২টিসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে সামাজিকতা মেনেই কোরবানি করা হচ্ছে।
জেলায় সেসব স্থানে পশু কোরবানি হয় তা ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ। পৃথক পৃথক সমাজের অন্তর্গত মানুষেরা তাদের পশু নিয়ে সমাজের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পশু জবাই করে মাংস তেরীর কাজ করছেন। এখান থেকেই নিজের অংশ রেখে বাকিটা আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীয় ও ফকির-মিসকিনদের মধ্যে বন্টন করা হচ্ছে। তাইতো মাংস সংগ্রহ করতে কোরবানির স্থানগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
প্রায় চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর ছেলে হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর কুদরতে হযরত ইসমাইলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের কথা স্মরণ করে মুসলিম স¤প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কোরবানি করে থাকে।