খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গৃহবধুকে পাশবিক নির্যাতনে মৃত্যুর পর হত্যা করার অভিযোগ দায়ের করেছে তার পিতা। ঘটনার পর দিন বৃহ:বার রাতে গৃহবধু নার্গিস আক্তারের পিতা আ: হামিদ বাদী হয়ে নার্গিসের স্মামী তফাজ্জুল হোসেন, শ্বশুড় গোলাম রব্বানী, শ্বাশুড়ী হোসনে আরা, দেবর-ননদ সহ পরিবারের ৫জনকে আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আবুর হাটির গোলাম রব্বানীর ছেলে তফাজ্জুল হোসনের সাথে চানপুর মুসলিম হাটি কদমতলী গ্রামের আ: হামিদেও মেয়ে নার্গিস আক্তারের রেজিষ্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে ৩ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে নার্গিস কে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখ শান্তির জন্য পিতা আ: হামিদ ২ লক্ষ টাকাও দিয়েছিল। মেয়ের গর্ভে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে আরো দেড় লাখ টাকা দেবার জন্য দাবি করেন। আ: হামিদ টাকা দিতে না পারায় তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন সর্বশেষ উক্ত টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।
গত বুধবার টাকা না পেয়ে নার্গিসের স্মামী সহ তার পরিবারের সদস্যরা নার্গিসকে পিটিয়ে মারাতœক জখম করে। মার পিটের পরই হাসপাতালে নিয়ে আসলে নার্গিসের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরপরই নার্গিস আক্তার বিষ খেয়ে আতœহত্যা করেছে বলে স্বামী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে পাড়া প্রতিবেশীর কাছ থেকে ঘটনাটি জানাজানি হলে নার্গিস আক্তারের স্বামী সহ পরিবারের সকলে গা ঢাকা দিয়েছে। মৃত্যুর পর জামালগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের সুরত হাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, গৃহবধু নার্গিস আক্তারের মৃত্যু নিয়ে তার পিতা একটি অভিযোগ দিয়েছেন এর তদন্ত চলছে।