Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

70খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬ :

কর্মক্ষেত্র মানেই হলো সময়ের সাথে দৌড়ানো। ব্যস্ত সময়ে কর্মক্ষেত্রে কী পরা উচিত আর উচিত নয় তা নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামাতে চান না। বিশেষ করে যেসব অফিসে ড্রেস কোড ঠিক করে দেয়া নেই সেসব অফিসে পোশাক নিয়ে নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

জেনে নিন অফিসে কী পরা উচিত আর কী পরা উচিত না সেই সম্পর্কে কিছু টিপস-
১। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতিটি কোম্পানির নিজস্ব একটি ড্রেসকোড থাকে। কাজে ঢোকার পর সেই সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়া উচিত। একেক ধরনের পেশার ক্ষেত্রে একেক রকম পোশাক গ্রহণযোগ্য হয়। আপনার পোশাকে আপনি পুরনো সময়কে যেমন বহন করবেন না, তেমনই এগিয়ে যাওয়ারও মানে হয় না। সময়মতো তাল মিলিয়ে নিজেকে বদলান। বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় যাঁরা কাজ করেন তাঁদের পোশাক আর যারা আইটি সেক্টরে কাজ করেন তাদের পোশাকে ভিন্নতা থাকবেই। তাই আপনার পেশায় তাঁরা কী ধরনের পোশাক পরছেন তা আগে থেকে যাঁরা আছেন তাদের দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
২। অফিসের প্যান্ট সবসময় ফরমাল হওয়া উচিত। খুব বেশি ভিন্ন ধরনের কাট ছাঁটের ইনফরমাল প্যান্ট অফিসে না পরাই ভালো।
৩। অফিসে ফরমাল শার্ট পরাই ভালো। টি শার্ট পরে অফিসে আসতে চাইলে অবশ্যই কলার যুক্ত টি শার্ট পরা উচিত। গোল গলার টি শার্ট অফিসে খুবই বেমানান দেখায়।
৪। পুরুষদের ক্ষেত্রে পোশাকের রঙ নির্বাচন করুন হালকা-মার্জিত রঙ থেকে। খুব বেশি কড়া রঙের দৃষ্টিকটু পোশাক না পরাই ভালো।
৫। নারীরা অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শালীনতার বিষয়টি মাথায় রাখুন। যেই পোশাকই পরবেন সেটা যেন অফিসের সাথে মানানসই ও শালীন হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন।
৬। অতিরিক্ত কাজ করা জবরজং পোশাক অফিসে মানায় না। তাই এ ধরণের পোশাক অফিসে এড়িয়ে চলবেন।
৭। নারীরা অফিসে হাতাকাটা পোশাক পরবেন না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অফিসে হাতাকাটা পোশাক একেবারেই মানানসই না।
৮। নারীরা অফিসে পরার পোশাকের গলা বড় রাখবেন না। বড় গলার পোশাকের বদলে হাই নেক, কলারযুক্ত কিংবা ছোট গলার পোশাক পরুন।
৯। পুরুষরা অফিসে সু পরুন। অফিসে স্যান্ডেল পরে আসা খুবই বেমানান দেখায়। হাঁটার সময় খুব বেশি শব্দ হয় এমন জুতা (যেমনঃ হাই-হিল বা পেন্সিল-হিল জাতীয় জুতা) না পরাই ভালো।
১০। অফিসে কড়া গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত নয়। হালকা ঘ্রাণের রুচিশীল সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
১১। এমন পোশাক পরবেন না, যা আপনার সিনিয়র বা বসের পোশাকের থেকে জৌলুসে সব সময় কয়েক মাত্রা এগিয়ে থাকে। এক-দুইবার এ ধরনের পোশাক পরতেই পারেন। কিন্ত্ত সেটাই যেন নিয়ম না হয়ে যায়।
১২। নারীরা অফিসে এমন কোনো অলংকার পরবেন না যেগুলোতে শব্দের সৃষ্টি হয়। অলংকারের টুংটাং শব্দ অন্যদের কাজের মনোযোগ নষ্ট করতে পারে।
১৩। ক্যাজুয়াল ফ্রাইডে-তে খুব ক্যাজুয়াল পোশাক পরবেন কি না, ক্লায়েন্ট মিটিং-এ কী ধরনের পোশাক পরে যাবেন সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সিনিয়র থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
১৪। ঈদ, পূজা, ক্রিস্টমাস এর মতো উৎসবের আমেজের পোশাক বেশিদিন পরে যাবেন না। তা আপনার সম্পর্কে অতিরিক্ত আমুদে এবং কর্মবিমুখ ইমেজ তৈরি করতে পারে।