শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

73খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬: ফেব্র“য়ারিতে শেষ হচ্ছে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ। ফেব্র“য়ারিতে গঠন করা হবে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর নতুন এ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সবার সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

সিইসি জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন রোববার। এসময় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কাজী রকিব জানান, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব সংবিধান মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি কীভাবে এটা করবেন সেটা তিনি নির্ধারণ করবেন। আই এম সিউর-তিনি সঠিকভাবে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে ৩১ অক্টোবর ইসি গঠনে বর্তমান কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রস্তাবনা দেবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সংবিধানে বলা আছে। আইন হলে আইন হবে। যতদিন আইন না হয় ততদিন সংবিধান অনুসারে হচ্ছে। (সিইসি ও ইসির নিয়োগ) এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া সে মোতাবেক হবে। গতবার একটা সার্চ কমিটির মাধ্যমে এটা হয়েছে। এবার কি হয় দেখা যাক, এখনো বেশ অনেক সময় আছে।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। ৮ ফেব্র“য়ারি বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হবে, সেই কমিশনের অধীনে কীভাবে আগামী নির্বাচন হবে- সে বিষয়ে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
কমিশন গঠন নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনার প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই ওই প্রস্তাবকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ বলে নাকচ করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি করে যেভাবে বিগত নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন, সে প্রক্রিয়া থেকে তাদের সরার ‘সুযোগ নেই’।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি বিধিসম্মত, বাস্তবসম্মত নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। যারা সংসদের বাইরে আছে, তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নাই।
অবশ্য এবারও আগেরবারের মত ‘সার্চ কমিটি’ করে রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনসহ অধিকাংশ নির্বাচনে কাজী রকিব নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অধীনে অংশ নেয়নি বিএনপি। সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে দলটি।
অবশ্য ইতোমধ্যে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠন করার দাবি তোলা হচ্ছে।