বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

মঙ্গলবাররদুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিগত নির্বাচন গুলোতে নির্লজ্জভাবে শাসক দলের ডিজাইনই বাস্তবায়ন করেছে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কোন ভূমিকা পালন করেনি। তাই আগামী ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও প্রতিযোগীতা মূলক করতে অতীতের সকল অপকর্ম ঢেকে ফেলার জন্য নির্বাচন কমিশন শেষ সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করে বিএনপি। দায়িত্ব পালনের শেষে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জল করার জন্য নাসিক নির্বাচনে ভয়ভীতি মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে সকল উদ্যম ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে সচেষ্ট হবেন।

তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে শাসক দল আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের চাবিকাঠিই হচ্ছে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। এরা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, অশুভ নীল নকশা এবং গণবিরোধী মাস্টারপ্ল্যানের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় যায় ও ক্ষমতাকে ধরে রাখে। তাই জনগণের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপরই যে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তি নির্ভর করে সেটা কখনোই তারা মানতে চায় না। এরা জনগণকে নিজেদের শত্রুপক্ষ মনে করে বলেই ক্ষমতায় এসেই অনাচার অবিচারে নিজেদেরকে লিপ্ত করে। এই কারনেই গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় শর্ত যে নির্বাচন সেটিকে তারা ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখে।

রুহুল কবির বলেন, কয়েক বছর ধরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে আওয়ামী লীগের একটি সাংগঠনিক ইউনিটে পরিণত করার প্রচেষ্টা দেখেছি। ফলে আওয়ামী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্যই আজকে দেশে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ ও বিরোধী দলের ভোটাধিকারের ওপর ভোটারবিহীন সরকারের সেন্সরশীপ বাস্তবায়ন করেছিল আজ্ঞাবাহী বতমান নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন শাসক দলের নির্দেশনা মান্য করতে এতই নিবেদিত ছিল যে, মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পর্যন্ত অগ্রাহ্য করেছে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম, সহিংসতা, ভোট ডাকাতি, খুন, জখম এবং প্রাণনাশের হুমকি ইত্যাদি অনাচারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পরও তারা এটিকে আমলে নেয়নি বরং বিরোধী দলের সকল অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে শাসক দলের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।