Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

34অনলাইন ডেস্ক, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭: মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আট লাখ রোহিঙ্গার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শরণার্থী’ ক্যাম্প বানানো হবে। রোহিঙ্গাদের স্থান দেয়ার জন্য কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে এই রোহিঙ্গা ক্যাম্প করার পরিকল্পনা করছে সরকার।

এর আগে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পের পাশেই আরও ২ হাজার একর জমিতে এই শরণার্থী শিবির গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু আগের ৩ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে বর্তমানে যোগ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা। তাই আরও ১ হাজার একর জমি নতুন আগত রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরি মায়া বলেন: সীমান্তের পাশে অবস্থিত এবং অস্থায়ী ২৩টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হবে নতুন এলাকায়।

যারা বিচ্ছিন্ন এলাকায় বসবাস করছে তাদের এক জায়গায় নিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন: তাই অনেক জমি দরকার, ধীরে ধীরে সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হবে।

একইসঙ্গে দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী জানান: কিছু পরিবারকে এখনই নতুন এলাকা কুতুপালং ক্যাম্পের বর্ধিতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে দুটি রোহিঙ্গা জনবসতিপূর্ণ এলাকা বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানান এই মন্ত্রী।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়েছে। এছাড়া আরও ১০ হাজার মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে।

অবশ্য চলমান রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া এবং শরণার্থীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ মহানুভবতার’ ভূয়সী প্রশংসা করে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মনে করে, বিশ্বের সামনে মানবিকতার এক প্রেরণাদায়ক উদাহরণ রেখেছে বাংলাদেশ।

এছাড়া গত ৭ সেপ্টেম্বরে নেওয়া প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় তিন লাখ রোহিঙ্গার জন্য ৭৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার ত্রাণ সহায়তা ঘোষণা করে জাতিসংঘ। ২৯ সেপ্টেম্বরে এই পরিকল্পনায় আরো যোগ হয় ৩৬.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে মানবিক সহায়তাকারীরা এখন তাদের পরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তন আনছে।