শনি. এপ্রি ২০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৮অক্টোবর, ২০১৭: প্রশ্ন ফাঁস যেন গলার কাটা। যেকোন পরীক্ষাতেই এখন প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে নিয়মিত ভাবেই। তবে এসব প্রশ্ন ফাঁসের কৌশল আবার ভিন্ন ভিন্ন। তেমনই একটি কৌশল ধরা পড়েছে এবার।

রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও কলেজে তখন জনতা ব্যাংকের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা (অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার) পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল। কয়েকজন পরীক্ষার্থীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলো শিক্ষকদের। সন্দেহভাজন ওই প্রার্থীদের কেউ কেউ মৃদু স্বরে কথা বলছেন। পরীক্ষা হলে তাদের এই আচরণে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হলো শিক্ষকদের। তবে তাঁরা কাউকে হাতেনাতে ধরতে পারলেন না।

পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে এমন খবর ফেসবুকের মাধ্যমে পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) প্রধান মোশাররফ হোসেন খান। তিনি অন্যান্য কর্মকর্তাদের খবর দিলেন। তাঁর দলে নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে। তাঁরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তেজগাঁও কলেজের ৯৩টি কক্ষে ঘুরতে থাকলেন। তখন পরীক্ষার ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পার হয়ে গেছে। একপর্যায়ে কয়েকজনকে দেখে বুঝতে পারলেন পরীক্ষার হলে কিছু একটা গরমিল হচ্ছে। এই অবস্থায় সন্দেহভাজনদের হাতে নাতে ধরার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। একজনের পাশে গিয়ে দেখলেন, আস্তে আস্তে কথা বলছেন। আর কানে গমের মতো সূক্ষ্ম কিছু একটা ঢোকানো। সেটির তার পোশাকের ভেতর দিয়ে চলে গেছে। ওই পরীক্ষার্থীকে চ্যালেঞ্জ করলেন তাঁরা। দেখা গেল, হাতে পয়সার মতো গোল চাকতির আকারের একটি ডিভাইস। এর সঙ্গে তারযুক্ত। পোশাকের ভেতর দিয়ে চিকন তার চলে গেছে অন্তর্বাসের নিচে থাকা আরেকটি ডিভাইসে। হাতে থাকা চাকতিটি আসলে একটি মিনি স্ক্যানার। সেখান থেকে প্রশ্ন স্ক্যান করে নিচের ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে কারও কাছে চলে যায় প্রশ্নপত্র। বাইরে থেকে প্রশ্ন সমাধান করে আবার পরীক্ষার হলে থাকা ডিভাইস ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্ন সমাধান করা হয়। এভাবে ১৪ জনকে হাতেনাতে এসব ডিভাইসসহ ধরে ফেলেন কর্মকর্তারা। বরখাস্ত করা হয় ওই পরীক্ষার্থীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *