Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিগগিরই ২৬ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগে নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

আগামী তিন মাস পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে জাতীয়করণের দুটি ধাপে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশের কাজ শেষ পর্যায়ে। নভেম্বরে তা প্রকাশ করা হবে।

এ ধাপে বিভিন্ন জেলার ৫৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারজন করে শিক্ষক রয়েছেন।

তৃতীয় ধাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউএনডিপির আওতাভুক্ত তিন পার্বত্য জেলার ৩১০ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। গত ২৯ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের খসড়া গেজেট প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এফ এম মনজুর কাদির বলেন, সম্প্রতি জাতীয়করণকৃত ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষকের পদ রয়েছে।

নতুন আরও একজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে একজন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার মান বাড়াতে জাতীয়করণকৃত স্কুলগুলোতে চার থেকে পাঁচজন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। দ্রুতই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে সৃষ্ট পদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে।

শিক্ষক তালিকা তৈরি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। আমরা তালিকা তৈরির কাজ শেষ করেছি। আগামী সপ্তাহে সে তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এফ এম মনজুর কাদির বলেন, অধিদফতর থেকে শিক্ষকদের তালিকা আসলে আমরা তা আবারও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।

সেখান থেকে পাস হলে অর্থ ছাড়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই ২৬ হাজার ১৯৫ স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। এসব বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৩৮৪৫ শিক্ষকের চাকরি তিন ধাপে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত হয়।

এর মধ্যে প্রথম ধাপের শিক্ষকদের চাকরি ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে, দ্বিতীয় ধাপের ২০১৩ সালের জুলাই থেকে এবং তৃতীয় ধাপের শিক্ষকদের চাকরি ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।