Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭: শীতে শিশুর ত্বকের যত্নঃ শীতের হাওয়ায় শিশুদের নরম ত্বকে দেখা দিচ্ছে রুক্ষতা ও শুষ্কতা। তাই এ সময় শিশুদের ত্বকের জন্য চাই বিশেষ যত্ন। শিশুদের ত্বক খুবই নাজুক। তাই পরিবেশের তাপমাত্রা বদল, শুষ্কতা বা আর্দ্রতা ইত্যাদির প্রভাব তাদের ত্বকে খুবই দ্রুত পড়ে।

এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. মাহবুব মোতানাব্বি বলেন, শীতে শিশুর ত্বক জলীয়বাষ্প হারিয়ে ফেলার কারণে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই এ সময় শিশুদের ত্বকে লোশন ও ক্রিম লাগানো উচিত। তবে অনেকেই এ সময় বড়দের ক্রিম, লোশন শিশুদেরও লাগিয়ে দেন, যা করা উচিত নয়। কারণ শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় কোমল এবং স্পর্শকাতর। বড়দের ক্রিম ও লোশন শিশুদের ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। তাই লোশন ও ক্রিম হতে হবে শিশুদের উপযোগী।

আসুন জেনে নেই, শীতে কীভাবে নেবেন শিশুর যত্ন

১. শিশুদের উপযোগী ক্রিম বা লোশন

বড়দের ক্রিম ও লোশন শিশুদের ত্বক ক্ষতি করতে পারে। তাই লোশন ও ক্রিম হতে হবে শিশুদের উপযোগী।

২. নিয়মিত গোসল

শীতে নবজাতক শিশুদের ত্বকে অনেক সময় হালকা পেঁয়াজের খোসার মতো উঠে আসে। একে পিলিং বলা হয়। ত্বকের শুষ্কতার জন্য এমনটি হয়। শীতে নবজাতক শিশুকে গোসল করিয়ে ক্রিম বা লোশন লাগিয়ে দিলে এর শুষ্কতা কমে যায়।

৩. কুসুম গরম পানি

অনেকেই মনে করেন শীতে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করালে ঠাণ্ডা লেগে যাবে, যদিও তা ঠিক নয়। বরং প্রতিদিন গোসল না করালে গরম কাপড় থেকে ঘাম বসে শিশুদের ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত গরম কাপড় পরানো উচিত নয়। এ ছাড়া এ ঋতুতে শিশুদের পরিচ্ছন্ন রাখতেই গোসল অপরিহার্য। তবে এ সময় হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করাতে পারেন কিংবা খুব বেশি শীত পড়লে কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর স্পঞ্জ করে দিতে পারেন।

৪. সরিষার তেল

শীতে গোসলের পর শিশুদের সরিষার তেল লাগালে ঠাণ্ডা লাগে না, এমন ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে। তাই অনেকেই এ সময় শিশুদের গোসলের পর জবজবে করে সরিষার তেল মাথায় দিয়ে দেন। অথচ খুব বেশি তেল লাগালে চুল ভেজা থাকে এবং এ থেকে ঠাণ্ডা লাগে। গোসলের পরপরই শিশুকে ভারী তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিন, দ্রুত জামা-কাপড় পরিয়ে দিন।

৫. একদিন পরপর শিশুর চুল ও ত্বকে শ্যাম্পু

একদিন পরপর শিশুর চুলের ত্বকে শ্যাম্পু লাগিয়ে দিন। শ্যাম্পু করার সময় মাথার ত্বক আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে পরিষ্কার করে দিন, যাতে ধুলোময়লা জমে চুলে খুশকি জমতে না পারে।

৬. অলিভ অয়েল

গোসল শেষে ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার আগেই শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল কিংবা ভালো কোনো লোশন লাগিয়ে দিন। দিনে অন্তত দুবার শরীরে এ ধরনের আদ্রতারক্ষক তেল বা লোশন লাগানো ভালো। এ সময় লোশনের চেয়ে ক্রিম বা অয়েন্টমেন্টই ভালো। কেননা এগুলো বেশি আদ্র।আর শীতে ব্যবহারের জন্য শিশুদের ক্রিম, লোশন ময়েশ্চারাইজার যুক্ত হওয়া উচিত। শিশুদের ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

৭. ডায়পার

শীতে শিশুদের দীর্ঘ সময় ডায়পার পরিয়ে রাখা উচিত নয়। ভেজা ডায়পার থেকে শিশুদের ঠাণ্ডা লাগতে পারে কিংবা ডায়পার র্যাশ উঠতে পারে। নবজাতক শিশুদের শীতে কিছু সময় রোদে রাখুন। কারণ সূর্যের আলোতে ভিটামিন ‘ডি’ আছে। ভিটামিন ‘ডি ’ শিশুদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তবে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শিশুদের রোদে রাখা উচিত নয়।

৮. চামড়া ওঠা

শীতে শিশুদের ত্বকের চামড়া অনেক সময় উঠে আসে, যা থেকে হতে পারে চুলকানিও। শিশুদের হাতের সামনের অংশ আর পায়ের পাতার পেছনের অংশে এ সমস্যা বেশি হয়। এর নাম ডামাটাইটিস। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।