খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার ,৭ নভেম্বর, ২০১৭: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তি ছুটছে। কয়েকদিন আগে বিশ্ব দেখল নাগরিকত্ব পাওয়া প্রথম রোবট সুফিয়াকে। যে এখন আর শুধু কল-কব্জা দিয়ে তৈরি রোবট নয়, নাগরিকত্ব লাভের কারণে মানুষের মতো সুবিধাও ভোগ করতে পারবে সে।কলকারখানা থেকে শুরু করে অফিস সহকারী পর্যন্ত-প্রতিটি জায়গা এসেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।প্রযুক্তির কল্যাণে সবকিছুই হয়ে উঠেছে আধুনিক।কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশিই আধুনিক।
ধারণা করা হয়, ১৮৮৫-১৮৮৬ সালের দিকে কার্ল বেনজ সর্বপ্রথম মোটর গাড়ির ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।সেই থেকে শুরু, প্রযুক্তির দিক থেকে গাড়ি দিন দিন আধুনিক থেকে হয়ে উঠছে আধুনিকতর।
বহু বছর আগে গাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, আগামী প্রজন্মের গাড়ি হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন, অনেক বেশি আধুনিক এবং অপ্রতিরোধ্য। চলতি সপ্তাহে টোকিও মোটর শো’তে বিশ্ব দেখল সেই আগামী প্রজন্মকে। অত্যাধুনিক টেকনোলজি সম্পন্ন ডিজাইন, সেলফ ব্যালেন্সিং মোটরবাইক নিয়ে ভরপুর ছিলো টোকিও মোটর শো’য়ের প্রতিটি কোণা।
বিশ্ব দেখল গাড়ির আগামী প্রজন্ম!
নিশান লিফ নিসমো: গত মাসে নিশান তাদের গাড়ির নতুন নকশা বাজারে নিয়ে আসে। নিশান লিফের ড্রাইভিং রেঞ্জ এবং ড্রাইভার অ্যাসিসটেন্স আগে থেকে আরো উন্নত এবং অত্যাধুনিক।নিশান মোটরস্পোর্ট ডিভিশন থেকে এটি ডিজাইন করা হয়েছে।যা এই মডেলকে দিয়েছে অ্যারো-ডাইনামিক বডি শেপ, আরো শক্ত সাসপেন্সন।
সুবারু ভিজিভ: স্পোর্টস কার সিডানের নতুন ভার্সন হলো সুবারু ভিজিভ। ভিজিভ অর্থ হলো ভিশন ফর ইনোভেশন। সুবারু ভিজিভের বৈশিষ্ট্য হলো এখানে আইসাইট টুইন ক্যামেরা রয়েছে যা ড্রাইভার অ্যাসিস্ট প্রযুক্তিকে আরো তরান্বিত করে। সুবারুর ট্রেডমার্ক বক্সার ইঞ্জিন এ মডেলকে করেছে আরো অত্যাধুনিক।
টয়োটা কনসেপ্ট-আই সিরিজ: হাইড্রোজেন পাইওনিয়ার টয়োটা এ বছর সবার নজর কেড়েছিল কনসেপ্ট-আই সিরিজ তৈরির ঘোষণা দেয়ার পর।জানুয়ারিতে ঘোষণা আসলেও টোকিও মোটর শো’তেও অংশ নেয় কনসেপ্ট আই সিরিজ। গাড়িতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে টয়োটা বেশ কয়েকবছর ধরেই কাজ করছে। এ মডেলও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে অনেক এগিয়ে বলে দাবী করছে টয়োটা।
ইয়ামাহা মোটররয়েড: ইয়ামাহা মোটররয়েড দাবী করে তাদের এ নতুন মডেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিজের মালিককে শনাক্ত করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, বাইকটি আর দশজন মানুষের মতো কথা বলতেও সক্ষম। যেনো আইরনম্যানের জেনিফার কনলি। মোটররইড মডেলটি সেলফ-ব্যালেন্সিং প্রযুক্তিসম্পন্ন যা একজন বাইকরাইডারকে আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
মাজদা কাই কনসেপ্ট: গাড়িপ্রেমীদের কাছে মাজদা একটি প্রিয় ব্র্যান্ড। সম্প্রতি মাজদা কাই মডেলে তারা স্পার্কলেস গ্যাসোলিন স্কাইঅ্যাক্টিভ-এক্স ব্যবহার করেছে। যা ডিজেল গাড়ি থেকে কমপ্রেশন ইগনিশনকে বেশি ভালো রাখে।
নিশান আইএমএক্স: আইএমএক্স অর্থ ইনটেলিজেন্ট মোবিলিটি ক্রসওভার। এই শ্লোগান নিয়েই তারা নতুন ভার্সন আইএমএক্স বাজারে এনেছে। নতুন মডেলের রেয়ার হ্যাচ, দরজা নিশানের অন্য যেকোনো মডেলের থেকে আলাদা। এ মডেলের ক্যাবিনেটের ব্যবহার অটোনমাস যুগকে নিয়ে এসেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
হোন্ডা স্পোর্টস ইভি কনসেপ্ট: ‘আপনি আর কোনোদিনও একা গাড়ি চালাবেন না’। এই বিশ্বাস নিয়ে হোন্ডা কোম্পানি বাজারে আনতে চলেছে তাদের নতুন স্পোর্টস কার।
বিশ্ব দেখল গাড়ির আগামী প্রজন্ম!
হোন্ডা রাইডিং অ্যাসিস্ট: হোন্ডার নতুন মডেল সমালোচকদের চোখে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। এই মডেলটি গ্যাসোলিন পাওয়ার্ড মডেলের বিবর্তিত ভার্সন। হোন্ডা রাইডিং অ্যাসিস্ট মূলত হোন্ডা অ্যাসিমো মডেলের নতুন সংস্করণ।
লেক্সাস এলএস: লেক্সাস এলএসের বৈশিষ্ট্য হলো এখানে সাইড মিররের পরিবর্তে ছোট ক্যামেরার ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই’য়ের উপস্থিতিতো রয়েছেই।
সুজুকি ই-সারভাইভার: সুজুকি ই-সারভাইভারের ট্রান্সপারেন্ট দরজা এ মডেলকে অন্যান্য মডেল থেকে ব্যতিক্রম করে তুলেছে। ছাদহীন গাড়ি এবং স্টিয়ারিং হুইল দিয়েছে সুজুকির এই মডেলকে নতুন গতি।
কিন্তু সুজুকি ই-সারভাইভার মডেল বাজারে আসতে আরো কয়েক বছর সবার অপেক্ষা করতে হবে।