Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭: ঘুম মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহর তা‘আলার অনেক বড় নেয়ামত। যাদের নিয়মিত ঘুম হয় না তারাই বুঝতে পারেন ঘুমের কদর। নিরাপদ ঘুম সবাই চায়। ঘুমের মধ্যে যেন কোন খারাবি না হয়। ঘুমের সময় শয়তানের খারাবি থেকে নিরাপদ থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য কিছু আমল আছে। যেগুলোর অসিলায় আল্লাহ তা‘আলা শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাযত করবেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না। অর্থ্যাৎ সারা রাত শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাযত থাকবে। (বুখারি-২৩১১)
একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, “তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অসমর্থ হবে?” এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে হল। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহ রাসূল ! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন। (বুখারী- ৫০১৫)
ঘুমানোর সময় রাসুল (সা:) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দিতেন : তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করতেন। মাসেহ আরম্ভ করতে হবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করতে হবে।) (বুখারি-৫০১৭)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেন : যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ”। অর্থ্যাৎ ঘুমানোর কারণে ইবাদত করতে না পারলেও বাকারার শেষ দুই আয়াত তার আমলের জন্য যথেষ্ট হবে। (বুখারি- ৪০০৮)
নবী (সাঃ) আরো বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। (সহীহ তারগীব-৬০২)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘আটি বলতেন।” (আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
“হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো। (বুখারি- ৬৩২৪)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন : আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লা-হু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে’’। (বুখারী- ৩৭০৫)
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন : “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সুরাহ মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন (তিরমিজি-২৮৯০)