শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭: মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে মরণোত্তর খেতাবে ভূষিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলসহ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ৯ নম্বর সেক্টরের অনেক মুক্তিযোদ্ধাই খেতাব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একক দাবীদার সরকারকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে মরণোত্তর খেতাব প্রদান কেন করছেন না ?

রবিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি মেজর এম এ জলিলের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত রক্তব্য রাখেন।

ন্যাপ নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, ব্রাক্ষ্যনবাড়ীয়া জেলা আহ্বায়ক এডভোকেট এস.এস. আবদুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশ এখন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন, দেশের মানুষ এখন সত্য কথা বলতে পারছে না। আমাদের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন, এই স্বাধীনতা বিপন্ন করেছে ভারত। ভারত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল।

তিনি বলেন, মেজর জলিল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, সাহসী এবং স্বাধীনচেতা ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতাত্তোর যখন মিত্র বাহিনী আমাদের সম্পদ লুট করতেছিল তখন মেজর জলিলই বাঁধা দিয়েছিলেন। পরিণতিতে তাকে মিত্র বাহিনীর পরামর্শে গ্রেফতার করে অন্তরীন করে জেল খাটতে হয়।

তিনি আরো বলেন, মেজর এম এ জলিল ৯ম সেক্টর কমান্ডার হিসাবে দক্ষিণ বাংলায় বীরত্বের সাথে শত্রুপক্ষের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। স্বাধীনতার পর মিত্র বাহিনী যেভাবে আমাদের দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করতেছিল তখন মেজর জলিল তার প্রতিবাদ করে গর্জে উঠে ছিলেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু তার কোন মর্যাদা ও সম্মান তিনি পান নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *