Sun. Jun 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর , ২০১৭:মূলধন ঘাটতি, খেলাপি ঋণসহ বিভিন্ন অনিয়মে ধুঁকছে নতুন-পুরনো অনেক ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই অবস্থায় নতুন ব্যাংক নয় বরং পুরনো ব্যাংকের মান বাড়াতে হবে। তবে সরকার জানায় বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবার আওতায় আনতেই অনুমোদন পাচ্ছে নতুন ব্যাংক।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ৫৭টি ব্যাংক আছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৩টি। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও চালু করেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিআইবিএমের হিসেবে দেশের প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ এখনও ব্যাংকিং সেবার বাইরে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবার আওতায় আনতে ৩টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

২০১২ সালে একসাথে ৯টি ব্যাংক অনুমোদন পায়। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে এর মধ্যে ৩টি দেয়া হয় প্রবাসী উদ্যোক্তাদের জন্য। তবে চার বছরেও রেমিট্যান্স বাড়াতে ব্যাংকগুলি তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। গত বছর এই ৩ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসে মাত্র ৫২ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকের সাথে হিসাব খুলতে পারেনি ৯ ব্যাংকের কোনটিও। চরম অনিয়মে তারল্য সঙ্কটে ফারমার্স ব্যাংক। পুরনো ব্যাংকগুলোতেও বাড়ছে খেলাপি ঋণ। মূলধন যোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলোকে।

বিশ্লেষকরা বলেন, এমন নাজুক পরিস্থিতিতে নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ব্যাংক খাতে দক্ষ কর্মী সংকট প্রকট হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে সেবার আওতায় আনতে জোর দিতে হবে এজেন্ট ব্যাংকিংএ। পাশাপাশি সরকারি ব্যাংকের অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে বেসরকারি ব্যাংককে।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি।