খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭: শেভিং করার সময় কাটাছেঁড়া থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা হয় শেভিং ক্রিম, জেল বা ফোম। কারণ, রেজ়ার দিয়ে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার আগে রোমকূপগুলি নরম করে নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, জেল বা ফোম ব্যবহার করলে শেভিংয়ের পর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। কিন্তু, হাতের কাছে শেভিং জেল না থাকলে কী করবেন? জেনে নিন, শেভিং জেলের বিকল্প কী কী হতে পারে-
বেবি অয়েল: ত্বককে তেলতেলে না করেই গভীরে পৌঁছে আর্দ্রতা জোগায় বেবি অয়েল। ফলে, শেভিং করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। শরীরের যে অংশে শেভ করতে চাইছেন, সেখানে পরিমাণমতো বেবি অয়েল লাগিয়ে নিন। তারপর শেভ করুন। রেজ়ারে লেগে থাকা তেল পরিষ্কার করার জন্য হাতে একটা টিসু রাখুন।
হেয়ার কন্ডিশনার: কন্ডিশনার ক্রিম-বেসড ও ময়েশ্চারাইজ়ারযুক্ত হয়। এর প্রধান কাজই হল চুলকে নরম করা। ত্বকে লাগালে কন্ডিশনার গোড়া থেকে লোমগুলিকে নরম করে শেভিংয়ে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেলে থাকে বেশকিছু ময়েশ্চারাইজ় করার মতো উপাদান, যা ত্বককে তেলতেলে না করেই ময়েশ্চারাইজ় করে। শেভিং জেলের বদলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে, আর শেভিংও হয় অনেক সহজে।
বডি লোশন: বডি লোশনের ক্রিমি টেক্সচার ত্বককে মোলায়েম করে তুলতে সাহায্য করে। শেভিংয়ের সময় বডি লোশন ব্যবহার করলে ত্বক সহজে শুষ্ক হয় না।রেজ়ারও লোম পরিষ্কার করা সময় বাধা পায় না।বডি লোশন দিয়ে শেভিং করার পর তুলো দিয়ে বাড়তি অংশ মুছে নিন।এবার হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।ত্বক হবে কোমল ও জেল্লাদার।
নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল: যদি শেভিং ক্রিমের আর কোনও বিকল্প খুঁজে না পান, ট্রাই করতে পারেন ঘরোয়া ও সহজলভ্য নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল শরীরের যেকোনও অংশে ব্যবহার করা যায়। ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।তাছাড়া, শেভিংয়ের আগে ত্বকে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিলে শেভিং করা যায় সহজে। আর ত্বক থাকে সুস্থ ও আর্দ্র।