খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭: ত্বক সুন্দর রাখতে রূপচর্চা পাশাপাশি চাই স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস। বেঁচে থাকার জন্য খাবার দরকার। তবে কিছু খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কিছু খাবার রয়েছে যা ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট ও লোমকূপ সংকুচিত করে। আসুন আমরা যেসব খাবার ত্বককে বিষাক্ত করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
* অ্যালকোহল: অ্যালকোহল ব্রণের জন্য খুব একটা দায়ি না হলেও এটা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করে যা সরাসরি ব্রণ ও অস্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য দায়ি। এটি লোমকূপ সংকুচিত করে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।অ্যালকোহল ত্বকের বর্তমান সমস্যার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তোলে অথবা ত্বকের নিত্য নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে।
* দুগ্ধজাত খাবার: দুধের তৈরি খাবার বাদ দিয়েছে এমন অনেকের কাছ থেকেই জানা যায় যে, এটা ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, দুধের তৈরি খাবার ব্রণের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে অনেকে এটা জানেন না, দুধের তৈরি খাবার ব্রণ সৃষ্টিও করতে পারে।
* চিনি: ত্বকের সব ধরনের ক্ষতি করার জন্য চিনি একাই যথেষ্ট। এটা কেবল ত্বকের লোম সংকুচিত করে না বরং প্রদাহ, বলিরেখা, শুষ্কতা এবং ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যারও সৃষ্টি করে।
* লবণ: লবণ বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হলে ত্বক ভালো থাকে এবং খাওয়া হলে ত্বকের ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত লবণের কারণে ত্বকের লোমকূপ সংকুচিত হয়ে যায়। লবণ খাওয়ার কারণে ত্বকে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে ত্বক হারায় আর্দ্রতা, যা ফিরিয়ে আনা বেশ কষ্টসাধ্য। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ ত্বক শুষ্ক করে দেয়। ফলে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে ব্রণের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর ও ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি করে।
* ময়দা: উচ্চ-গ্লাইসেমিক খাবার (যেমন- পাস্তা, সাদা পাউরুটি) শর্করায় পরিণত হয়। উচ্চ-গ্লাইসেমিক খাবার ত্বকে প্রদাহ, বলিরেখা, শুষ্কতা ও চামড়া ঝুলে পড়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে।