খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৭ডিসেম্বর, ২০১৭:আগাম বন্যায় নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে অর্থনীতির পাশাপাশি ভেঙে পড়ছে শিক্ষাব্যবস্থাও। অভাবের তাড়নায় হাওর ছেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে হুমকিতে পড়বে হাওরাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা, এমনটিই আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক ও ভাসমান স্কুল প্রস্তাব ইউএনও’র। সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর
গুটিকয়েক শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে ক্লাস, এমন অবস্থা নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চালের স্কুলের। খালীয়াজুরীর প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। আর তাই বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে প্রশংসাপত্রের জন্য ভিড় বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনপ্রতিনিধিদের কার্যালয়ে।
নেত্রকোণা খালিয়াজুরীর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছানোয়ারুজ্জামান যোসেফ বলেন, আগাম বন্যায় শতভাগ ফসল তলিয়ে যাওয়ায় খালিয়াজুরীর কৃষি নির্ভর পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম অভাব। তাই সংকট কাটাতে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে।
সিদ্দিকুর রহমান বালিকা বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক দিপংকর দত্ত রায় বলেন, সার্বিক ধরনের সুবিধা শিক্ষার্থীদের দেয়া হলে শিক্ষার মান বাড়বে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোও টিকে থাকবে।
শিক্ষার্থীদের এমন ঝরে পড়া ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন ব্যক্তিরা। আগাম বন্যায় শতভাগ ফসল নষ্ট হওয়ায় স্থানীয় কৃষি নির্ভর পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম অভাব। অভাবের তাড়নায় হাওর ছেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। টানাটানির সংসারে সন্তানকে স্কুলে পাঠানো তাই বিলাসিতা।
নেত্রকোণা খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, হাওড়াঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক ও ভাসমান স্কুল নির্মাণে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এমন ঝরে পড়া ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।