Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: হারানো মানবগোষ্ঠী, নিখোঁজ জাহাজ এমনকি হারিয়ে যাওয়া বন আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় এবার নতুন দুইটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহ দুইটি আমাদের সৌরজগতের মতো কোনও নক্ষত্র সিস্টেমের সদস্য। এরমধ্যে একটি পৃথিবী থেকে দুই হাজার ২০০ আলোকবর্ষ দূরের কেপলার-৯০ নক্ষত্রের গ্রহ। এই আবিষ্কারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই নক্ষত্রেরও আমাদের সৌরজগতের মতো আটটি গ্রহ রয়েছে। এই প্রথম আমাদের সৌরজগতের মতো এতো বেশি সংখ্যক গ্রহ সমৃদ্ধ নক্ষত্রের সন্ধান পাওয়া গেল।

গুগল টিম নাসার কেপলার মহাকাশ টেলিস্কোপের মাধ্যমে গাণিতিক সংকেত পাঠিয়ে হাজার হাজার সংকেত ফেরত পেয়েছে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও নভোচারী অ্যান্ড্রু ভানডারবার্গ বলেন, কেপলার-৯০ নক্ষত্র সিস্টেমটিকে আমাদের সৌর জগতের ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা যায়। আমাদের মতো তাদেরও ছোট গ্রহগুলো ভেতরের দিকে আর বড় গ্রহগুলো বাইরের দিকে ঘুরছে।

তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, শুধু সৌর জগতেই এতো বেশি সংখ্যক গ্রহ থাকার রেকর্ডটি আর থাকলো না। এতদিন সৌরজগতের বাইরে কোনও নক্ষত্রের আরও বেশি গ্রহ থাকতে পারে বলে যে ধারণা করা হচ্ছিল তাই সত্য প্রমাণিত হলো। হতে পারে কেপলার-৯০ গ্রহে আরও অনেক গ্রহ আছে যা আমরা এখনও জানতে পারিনি। নক্ষত্র সিস্টেমটিতে এখনও অনাবিষ্কৃত অনেক কিছু রয়েছে। আর সেখানে আরও গ্রহ না থাকলেই তা হবে বিস্ময়কর।

নক্ষত্র জগৎটিতে কেপলার-৯০আই নামে গ্রহটি সবচেয়ে ছোট। এটা তার নক্ষত্রের সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে ঘোরে। প্রতি ১৪ দিনে একবার করে কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে। এর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কেপলার এক্সপোপ্লানেট হান্টিং টেলিস্কোপে আসা দুর্বল সংকেতগুলো আবিষ্কার করতে গুগল টিম একটি স্নায়বিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছে। মানুষ ওই সংকেতগুলো বুঝতে পারেনি। কেপলার ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার কক্ষপথযুক্ত গ্রহ আবিষ্কার করেছে; যার মধ্যে প্রায় এক হাজার সন্দেহজনক। টেলিস্কোপটি চার বছরে কক্ষপথযুক্ত গ্রহ খুঁজে বের করার জন্য প্রায় দেড় লাখ নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণ করেছে। এই পর্যবেক্ষণ মিশনটি ২০১৩ সালে শেষ হলেও এ থেকে প্রাপ্ত উপাত্তগুলো বিশ্লেষণ করতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউ গুগল এআই-এর জ্যেষ্ঠ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টোফার শাল্যু গ্রহটি আবিস্কার করেছেন। তিনি বলেন, এটা খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ ছিল। আমরা মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রহটির অবস্থান আবিষ্কার করতে পেরেছি। স্নায়বিক নেটওয়ার্ক ৯৬ শতাংশ ভুল সংকেতের মধ্য থেকেও আসল সংকেতটি বাছাই করতে পারে।

তিনি বলেন, এটা সত্যি আমাদের জন্য বিশাল আবিষ্কার! এটা প্রতিকূল পরিবেশে দুর্বল সংকেতের মাধ্যমে গ্রহ খুঁজে বের করতে স্নায়বিক নেটওয়ার্কের সফলতার বড় প্রমাণ। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন