খােলা বাজার২৪। বুধবার,, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭: হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবরোধ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাসগামী শাটল ট্রেন এবং শিক্ষক বাস চলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা হয়নি। অন্যদিকে ছাত্রলীগের আরেক পক্ষ আনোয়ার হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। তিনি সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দিয়াজের লাশ উদ্ধারের পর ছাত্রলীগের একাংশের আন্দোলনের মুখে ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। গত সোমবার তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গতকালের অবরোধের নেতৃত্ব দেন দিয়াজ হত্যা মামলার অন্য আসামিরা। তাঁরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। ভোরে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। সকাল আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তালা খুলে দেন অবরোধকারীরা।
সকাল সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রাম নগরের বটতলী স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন ঝাউতলা স্টেশনে এসে পৌঁছানোর পর অবরোধকারীরা ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেন। এতে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে আর কোনো শাটল ট্রেন চলেনি। চট্টগ্রাম শহর ও ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রতিদিন ছয় জোড়া শাটল ও দুই জোড়া ডেমু ট্রেন চলাচল করে। অবরোধকারীদের বাধার কারণে ক্যাম্পাস থেকে কোনো শিক্ষক বাস শহরে যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু তাহের চৌধুরী বলেন, শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস চলাচল না করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। তাই বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেন তাঁরা।
গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথম আলো