Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭:  গান শুনতে কার না ভালো লাগে। কানে ইয়ার ফোন কিংবা হেড ফোন লাগিয়ে একা একা গান শুনতে তো আরও বেশি ভালো লাগে এবং তখন আর গানের শব্দে কারোও বিরক্তও হয় না। কিন্তু এই ইয়ার ফোন বা হেডফোন ব্যবহারে কারণে কমে যেতে পারে কানের শ্রবণ শক্তিও।

শব্দের তীব্রতা/ লেভেল পরিমাপ করা হয় ডেসিবলে। শব্দের লেভেল যখন ৮৫ ডেসিবল অতিক্রম করে তখনই তা কানের জন্য ক্ষতিকর হওয়া শুরু করে। হেডফোনে সাধারণত ১০০ ডেসিবল থেকে অধিক ডেসিবলের শব্দ উৎপন্ন করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হেডফোনের ব্যবহার কানের শ্রবন ক্ষমতা কমায়। কেউ যখন উচ্চমাত্রার শব্দ শোনে তখন আপনার কানের ভেতরে থাকা হেয়ার সেল নামক পাতলা চুলের মতো কোষ (এটি মস্তিষ্কে সঙ্কেতও পাঠায়) আক্রান্ত হয়। ফলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্রমাগত হেডফোন ব্যবহারের কারণে এরকম ক্ষতি হতে পারে।

কানের গঠন ও শোনার উপায় মূলত নির্ভর করে কানের বাইরের দিকের যে অংশের ওপর তার নাম পিনা। এটি শব্দ সংগ্রহ করে এবং তা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। কানের ক্যানেলের শেষে একটি পাতলা পর্দা রয়েছে, যার নাম ইয়ার ড্রাম। এখানে শব্দের কম্পনগুলো এনার্জিতে রূপান্তরিত হয়। বেশি মাত্রায় হেডফোন/ ইয়ার ফোন ব্যবহারের ফলে এই অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে- হেডফোন ব্যবহার করলেই যদি কানের শ্রবন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে কি হেডফোন ব্যবহার করবো না? এর উত্তর হচ্ছে- হেডফোন ব্যবহার একেবারেই করবেন না ব্যাপারটা তা না। হেডফোন ব্যবহারেও কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা আবশ্যক।
প্রথমত, যে ডিভাইসে(এমপিথ্রি, মোবাইল, কম্পিউটার) হেডফোন ব্যবহার করছেন, হেডফোন ব্যবহারের সময় সেই ডিভাইসের সর্বোচ্চ ভলিউমের ৬০% ব্যবহার করুন।
দ্বিতীয়ত, একটানা বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো। দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহারকে নিরাপদ বলে ধরা হয়।

হেডফোন ব্যবহার করলে বড় সাইজের হেডফোন ব্যবহার করা ভালো। বড় হেডফোন কান থেকে অনেক দূরে থাকে। ফলে নর্মাল হেডফোনের চেয়ে এতে ক্ষতি কম হয়। নর্মাল হেডফোন বলতে ইন ইয়ার হেডফোনের কথা বোঝানো হচ্ছে। আর বড় হেডফোন বলতে যেটা পুরো কান ঢেকে রাখে সেটার কথা বুঝানো হচ্ছে। তবে শব্দের তীব্রতার কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
কান মানব দেহের অত্যন্ত মূল্যবান অঙ্গ। শ্রবন ক্ষমতা কমে গেলে বা কানে শুনতে সমস্যা বোধ করলে নিকটস্থ ই.এন.টি ডাক্তারের শরণাপন্ন অবশ্যই হতে হবে।
সূত্র- বিবারতা টোয়েন্টিফোর