Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮:  আলেম ওলামাদের বিরোধিতার মুখে ইসলাম সম্পর্কে দেওয়া নিজের বক্তব্যগুলো প্রত্যাহার করেছেন তাবলীগ জামাতের দিল্লি মারকাযের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলবি। তিনি শুক্রবার কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজের আগে দেওয়া বয়ানে ইসলাম সম্পর্কে দেওয়া নিজের বক্তব্যগুলো ‘রুজু’ (প্রত্যাহার) করেছেন এবং আলেম উলামাদের প্রংশসা করে তাদের কথা মেনে নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন। তবে দোভাষীর অনুবাদে বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। এ প্রতিবেদকের হাতে মাওলানা সাদের দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ পৌঁছার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আমাদেরসময়.কম এর প্রতিবেদকের হাতে মাওলানা সাদের উর্দু ভাষায় দেওয়া কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পৌঁছেছে। এসব ভিডিওতে তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন। গত বছরও তিনি ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার অভিযোগের ভিত্তিতে তার বক্তব্য ‘রুজু’ করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে দেওবন্দ মাদরাসা তার এ ‘রুজুনামাকে’ অসম্পূর্ণ বলে গ্রহণ করেনি।

গত শুক্রবার কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ পড়ান তাবলিগ জামায়াতের দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলবি। নামাজের পূর্বে মাওলানা সা’দ মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন। এসময় তিনি তার বক্তব্য প্রত্যহারসহ আলেম উলামাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো বয়ান করা। বয়ানে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। আমি আমার বয়ানের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম যে ভুলের কথা বলেছেন তার থেকে ‘রুজু’ করছি। আমি আমার বক্তব্য থেকে আগেও রুজু করেছি এখনো সবার সামনে করছি।’

তাবলিগের সাথীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ওলামায়ে কেরাম আমাদের ওপর অনুগ্রহকারী। তারা যদি কখনো কোনো কারণে আমাদের ভুল ধরেন তাহলে মনে করতে হবে তারা আমাদের উপর অনুগ্রহ করছেন। ওলামায়ে কেরাম যে কথা বলবেন তাতে আমাদের সংশোধন করবে। এজন্য তাদের কথা মেনে চলতে হবে।’

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় তাবলীগের বয়ানে মাওলানা সাদ’র বিতর্কিত কিছু বক্তব্যের কারণে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে তাকে প্রথমে সতর্ক কারা হয়। পরে বক্তব্য প্রত্যাহার এবং প্রকাশ্যে ভুলের স্বীকারোক্তির জন্য বলা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্যের জেরে সৃষ্ট দ্বন্ধে মাওলানা ইব্রাহিম দেওলভি নিজামুদ্দিন ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় সমাধানের জন্য মাওলানা সাদকে আহ্বান করা। কিন্তু তিনি যথাযথ পন্থায় তা না করায় ওলামায়ে কেরাম তাকে বয়কট করেন। বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামও এই সংকট নিরসনের চেষ্টায় দিল্লির নিজামুদ্দিন ও দেওবন্দ সফর করে সমাধানের চেষ্টা করেন।

সর্বশেষ ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইজতেমা মাওলানা সাদ’র অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এ নিয়ে দেশে তুমুল বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় মাওলানা সাদ’র ইজতেমায় অংশ না নিয়ে দিল্লি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার মাওলানা সা’দ দিল্লি ফিরে গেছেন।