Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রোববার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন রূপরেখা তৈরি করছে বিএনপি। তবে নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কোন আলোচনায় বসতে রাজি নয় আওয়ামীলীগ।

অনেক দিন ধরেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। এধরনের সরকারের একটি রূপরেখা দেবার কথা বললেও তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানালেন দলটির নীতিনির্ধারকদের একজন। তবে সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করাসহ নানা প্রস্তাবনার ঐ রূপরেখায় সংবিধান সংশোধনেরও দাবী থাকবে বলে জানান তিনি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশ্নে কোন আলোচনায় আগ্রহী নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের একজন নীতিনির্ধারক বলছেন, এই সরকারের অধীনে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে দেশজুড়ে চলা সহিংসতা নির্বাচনকালীন সরকারের দাবীতে। দাবী পূরণ না হওয়ায় ঐ নির্বাচনে অংশ না নেয়া দলটি এখন সংসদেরও বাইরে। কিন্তু যখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন তখনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন এক সরকারের দাবীতে অনড় দলটি।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নামে এরই মধ্যে একটি সরকারের রূপরেখা বা মডেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দলটির ভেতরে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল সকল রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে। এখন আওয়ামী লীগ যেহেতু এই ব্যবস্থা একাই বাতিল করেছে তাই নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কী হবে আমরা সে প্রস্তাব দিব।

সংসদ ভেঙে দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনাসহ অনেকটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে সহায়ক সরকারের প্রস্তাবনায় থাকতে পারে সাবেক বিচারপতি, সাবেক আমলা এবং বিচারপতিদের দিয়ে গঠিত টেকনোক্র্যাট মন্ত্রিসভা গঠনের কথা। দলের এই নীতিনির্ধারক বলছেন, এর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবনাও থাকবে রূপরেখায়।

আমীর খসরু আরও বলেন, আমরা প্রস্তাবনা দিব। সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। অন্য কেউ দিলে সেটাও আলোচনায় আসতে পারে। নিরপেক্ষ সরকার প্রধান কোনো দলীয় প্রধান থাকতে পারেন না।

তবে সংবিধান সংশোধন করে ভিন্ন একটি সরকার গঠনের কথা বিবেচনা করতেও প্রস্তুত নয় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো প্রশ্নই আসে না। বিশ্বের কোনো দেশেই এমন ব্যবস্থা নেই।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, তাদের মধ্যে ঐক্যমত থাকলে আলোচনা হওয়া সম্ভব। আলোচনাটা শুধুমাত্র তাদের নিজেদের জন্য প্রয়োজন নয়, দেশের জন্যই তাদের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন।

সংবিধান এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় দলগুলো ঐক্যমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র হোঁচট খাবার শঙ্কা আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: সময়।