খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা লড়ার অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তা সত্য নয়। ড. কামাল হেসেনের সাথে খালেদা জিয়ার মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তিনি মনযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন।
বুধবার দুপুরে দলের নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে আইনি পরামর্শের জন্য ড. কামাল হোসেনের কাছে গেছি। সেখানে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রায়ের একটা কপিও তাকে দিয়েছি। তিনি বলেছেন রায়ের কপি তিনি পড়বেন, পরে আমাদের পরামর্শ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ড. কামাল খালেদা জিয়ার মামলা লড়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন এটা পুরোপুরি মিথ্যা। এমনকি সাংবাদিকরা আমার সাথে বা কামাল হোসেনের সাথে কথা বলার প্রয়োজনই মনে করেনি। এর মাধ্যমে শুধু বিএনপি নয় ড. কামাল হোসেনের মত আইনজীবীকেও ছোট করা হয়েছে।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানে হচ্ছে। এমনকি দলের নারী কর্মীদেরও গ্রেফতার করে সারাদিন থানায় রেখে পরের দিন কোর্টে পাঠিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এমনকি শুনানির যে ডেট দেয়া হচ্ছে তাও ১-২ মাস পরে।
তিনি বলেন, যেভাবে দমন পীড়ন ছালানো হচ্ছে এস মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করা যাবে না। এমনকি বিএনপিকেও ভাঙা যাবে না। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। কোনো সংঘাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়িত নয় অথচ তারপরও দলের নেতাকর্মীদের কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারণা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ইসির কাছে দেয়া চিঠির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মিথ্য মামলায় আর প্রধানমন্ত্রী দেশ বিদেশে সরকারি খরচে নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাই আমরা যৌক্তিক দাবি জানিয়েছি অবিলম্বে এটি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে। তবে আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিবে। আর যদি তারা যদি সেটা না করে তাহলে আমরা আগে যে অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করছে সেটাই প্রমাণ হবে।
বিচার বিভাগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া আইনজীবীদের ভুলে কারাগারে আছেন বলে আইনমন্ত্রী প্রমাণ করেছে খালদো জিয়াকে মিথ্য মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করে সরকার আবারও প্রমাণ করেছে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সরকারের নির্দেশের বাহিরে কিছু চলছে না।
এসম আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।