Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: দেশে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক হিংসা, বিভাজন, দলিত ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন "উদার আকাশ" পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার সময় কলকাতা "প্রেস ক্লাবে" একটি সাংবাদিক সম্মেলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল "উদার আকাশ" পত্রিকা।

"বিভেদকামী শক্তি প্রতিহত করতে আমাদের করণীয়" এই বিষয় নিয়ে বক্তৃতার জন্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন দৈনিক কলমের সম্পাদক ও সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদক ড. বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনোজিত মণ্ডল, আশুতোষ কলেজের অধ্যাপক ড. সুকান্ত আচার্য, দলিত নেতা সমীর কুমার দাস, হাসির মল্লিক, প্রবীর মণ্ডল প্রমুখ। এদিন প্রথমেই সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পলাশ চৌধুরী। এরপর বিভেদকামী শক্তিকে প্রতিহত করতে "উদার আকাশ" প্রকাশনের পক্ষে কিছু পোস্টার উদ্বোধন করেন সমস্ত অতিথিরা। প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মিলন উৎসবের আয়োজন করেছিল "উদার আকাশ" বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশিষ্ট কবি শাহ আলম চুন্নু। "আমার হৃদয় আমার দহন" কাব্যগ্রন্থ নিয়ে কিছু বললেন, অধ্যাপক ড. রতন ভট্টাচার্য ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী।

এছাড়াও বাংলাদেশের আরও কয়েকজন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরকে "উদার আকাশ" যথাযত সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করে। এই সভাতেই সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা ও শিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য সাহিত্যিক হাসির মল্লিক, সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদক ড. বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনোজিত মণ্ডল, আশুতোষ কলেজের অধ্যাপক ড. সুকান্ত আচার্য, দলিত নেতা সমীরকুমার দাস, ফটোগ্রাফার বদরুদ্দোজা, চিত্রশিল্পী সারফুদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট কবি শাহ আলম চুন্নুসহ আগত সকল অতিথিদেরকে সম্মাননা প্রদান করেন, 'উদার আকাশ' সাহিত্য পত্রিকা ও প্রকাশনের পক্ষে সম্পাদক ফারুক আহমেদ।

এছাড়াও বাংলাদেশের অতিথিদেরকেও সম্মাননা দেওয়া হয় যথাক্রমে বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা শাহনাজ বেগম লাভলী, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য মো: লুৎফর রহমান লেবু (বীর মুক্তিযোদ্ধা), ইঞ্জিনিয়ার মো:শামসুল অালম তালুকদার, শিক্ষা বিস্তারে ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এড. এইচ,এম,শায়েদীদ গামান লিপু, সমাজ সেবায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: এনামুল হক, দক্ষ সংগঠক মোবাশ্বিরা পাপিয়া, সাধারণ সম্পাদক,ধারা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্হা। প্রত্যেকই "উদার আকাশ" এর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় মানপত্র, উত্তরীয়, ফুলের স্তবক, মেমেন্টো, মূল্যবান গ্রন্থ, ম্যাগাজিন ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয়। প্রত্যেক অতিথিরা মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিভেদকামী শক্তিকে রুখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার ডাক দেন তাঁরা।

এই সভা সম্বন্ধে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বললেন, ভারতের ঐতিহ্য, মিলনের ঐতিহ‍্য। বাঙালি যুগে যুগে মিলনের বার্তা দিয়েছে। যখনই বিভেদকামী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, বাঙালি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করেছে। বর্তমান সময়ে একদল মানুষ ব্যক্তিগত নশ্বর স্বার্থসিদ্ধির জন্য, ক্ষমতা পাওয়া জন্য, আস্ফালনের নিমিত্ত ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করে যাচ্ছেন; দেশ জুড়ে তাঁরা ইতিহাসকে-ঐতিহ্যকে এবং শাশ্বত উদার ভারতের সভ্যতার ইতিহাসকে বিকৃত করে হিংসা আর বিদ্বেষের খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন; তাঁদের প্রতিহত করতেই হবে। তাই এখন সৌহার্দ-সম্প্রীতি-ভালবাসার গল্প যত বেশি বলা যায়, ততই ভারতবাসীর জন্য মঙ্গল। বর্তমান সময়ে আমরা দেখছি, বিভেদকামী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে, বাঙালি এই অশুভ শক্তিকে রুখে দেবেই, এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

বাংলা ও বাঙালির গর্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, লালন ফকির আমাদের সে শক্তি দিয়েছেন। আমরা ভয় পাই না। তাই "উদার আকাশ" পত্রিকা ও প্রকাশন দিচ্ছে ডাক, বিভাজনের রাজনীতি নিপাত যাক। বুধবার বিধানসভায় মুর্শিদাবাদ জেলাসহ আরও তিনটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ঘোষনা করল রাজ্য সরকার। ফারুক আহমেদ তিনি মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য সর্বপ্রথম লিখিত আবেদন করেছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় হবে মুর্শিদাবাদ জেলায় এই সংবাদ পাওয়ার পর প্রেস ক্লাবে বললেন, আমরা সত্যি মুগ্ধ ও বিমুগ্ধ দিদির জন্য।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের আরও একটি পালক যোগ হলো মুর্শিদাবাদ জেলায়। বাজেট বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মাননীয় পার্থ চট্টপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ঘোষনা করলেন। ধন্যবাদ জানাই মা মাটি মানুষের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আমরা সত্যি গর্বিত হলাম আমাদের মানব কল্যাণকর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। আর পিছিয়ে থাকবে না মুর্শিদাবাদ জেলা। এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পালা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে জয় মা মাটি মানুষের জয় এই স্লোগান। মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ এবং গোটা রাজ্যের মানুষ সত্যি দারুন খুশি হয়েছেন। বহুদিনের আশা পূর্ণ করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।