Mon. May 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

 

 

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ০৫ মার্চ, ২০১৮: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁটু সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন। কারাগারে যাওয়ার পর সেসব সমস্যা বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়া বাইরের ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে চাইলেও কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ এর সাগর-রুনি মিলনায়তনে সচেতন চিকিৎসক সমাজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিএমএ’র সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবি লাবু বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কারা-কর্তৃপক্ষ দেখা করার অনুমতি দেয়নি।পরে আইজি প্রিজনের কাছে চিঠি দিলেও কোন ধরণের সাড়া পাইনি। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মিলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। দেখে চিকিৎসা দিলে অবশ্যই তিনি ভালো হতেন বলে আমরা আশাবাদী। খালেদা জিয়া নিজেও বাইরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে চেয়েছেন। অথচ কারাগারের একজন জুনিয়র ডাক্তার বলে দিলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন, এখন সেই ব্যথা বেড়েছে। 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে চোখের অপারেশন করিয়েছেন। ৩০ বছর ধরে হাঁটু সংক্রান্ত অষ্টিও আর্থোসিস রোগে ভুগছিলেন। প্রচণ্ড হাঁটু ব্যথায় ওনার স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছিল। এক পর্যায় হাঁটু সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করে কৃত্রিম হাঁটুর জোড়া লাগানোর অপারেশন করান। এর পর থেকে কঠোর নিয়ম কানুনের মধ্যে থাকায় তার হাঁটুতে কোন সমস্যা হচ্ছিল না। তবে কারাগারে যাওয়ার পর আবার হাঁটুর ব্যথা বেড়েছে। ওনার চলাচলের অবস্থা, ওয়াশরুম ব্যবহারের পদ্ধতি সবকিছুর ব্যাপারেই একজন হাঁটু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। তা নাহলে কারাগারের পরিবেশের জন্য কৃত্রিম জোড়া লাগানো দুটি হাঁটু কোনভাবে ঢিলে হয়ে গেলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে পারে। এসময় তিনি বাইরের চিকিৎসক দিয়ে খালেদা জিয়ার শরীরের সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় কোন ক্ষতি হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দেন। 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. একেএম আজিজুল হক, বিএমএ’র সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ড্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদ হাসান, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল আলম প্রমুখ।