খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার ১৯ জুন ২০১৮ : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় এসেসমেন্টকৃত গার্মেন্টস কারখানার সংস্কার/স্থানান্তর কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে যে সকল কারখানা এ কাজ সম্পন্ন করবে না সে সকল করাখানা জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেয়া হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার বিজিএমইএ ভবনে এ্যাপারেল ক্লাব সম্মেলন কক্ষে জাতীয় উদ্যোগের আওতায় গার্মেন্টস কারখানা সংস্কারের বিষয়ে কারখানা মালিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মুজিবুল হক এ ঘোষণা দেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, জাতীয় উদ্যোগের আওতায় কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৫৪৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭৫৫টি কারখানা এ উদ্যোগের আওতায় সক্রিয় রয়েছে। এ কারখানাগুলোর ৩২ শতাংশের কম সংঙ্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৫ টি কারখানা সংস্কার কাজ শুরুই করেনি এবং ৭৫৩ টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত শতভাগ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৭টি কারখানার।
মতবিনিময় সভায় কারখানা মালিকরা তাদের কারখানার সংস্কার এবং স্থানান্তরের খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেন। সভায় অংশগ্রহণকারী সকলে আশা করেন জাতীয় উদ্যোগের আওতাধীন সকল কারখানা সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার/স্থানান্তর কাজ শেষ করতে পারবে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একর্ড, এলায়েন্স এবং জাতীয় উদ্যোগের আওতায় মোট ৩ হাজার ৭৮০টি গার্মেন্টস কারখানার প্রাথমিক এসেসমেন্ট সম্পন্ন করেছে।
কারখানার সংস্কারের বিষয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ২৫ থেকে ২৬ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেল্স এ অনুষ্ঠেয় সাসটেনেবিলিটি কমপ্যাক্ট ৪র্থ সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ-এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, বিজিএমই, বিকেএমই পরিচালকবৃ›সহ শতাধিক গামের্ন্টস মালিক এবং তাদের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।