Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খোলাবাজার২৪.রবিবার ,০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ : মোঃ রাসেল মিয়া, নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর  পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার উত্তর পাইকসা গ্রামের দিনমজুর টুন্ডা হাতেম এখন কোটিপতি।

স্ত্রী,সন্তান,ভাই ও আত্বিয় সজ্বনদের নামে বেনামে ব্যাংক ব্যালেন্সের কোন অভাব নেই। ঘোড়াশালে কিনেছেন প্রায়-৩০০/৪০০ শত শতাংস জমি।দ্বিতীয় স্ত্রীর দেশের বাড়ী দিনাজপুরে ক্রয় করেছেন কয়েক কাঠা নাল জমি ও মাছের পুকুর।

১ কোটি ৩৫ লাক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন আঁখের বাগান।তার একমাএ-পুএ রাসেল কে প্রায়-২০ লাক্ষ টাকা দিয়ে তিন তিনবার বিদেশে পাঠালেও মাদক গ্রহনের অভিযোগে কতৃপক্ষ তাকে বার বার ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে।

টুন্ডা হাতেমের সম্পর্কে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়-আজ থেকে ৯ বছর পূর্বেও টুন্ডা হাতেম ছিলো এলাকার ছিচকে চোর মাঝে মধ্যে দিনমজুরের কাজ করতো।কয়েকবার এলাকায় মুরগী ও ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরাও পড়েছে।

এর পর ঘোড়াশাল সিএনজি স্টেশনে লাইন ম্যানের চাকরী দেন তৎকালীন যুবদল নেতা-লোকমান হোসেন।কয়েক বার স্টেশনে পতিতাদের দালালি ও মাদক ব্যাবসা করতে গিয়ে চাকরিও হারান।

এরপর রাজনৈতিক পট পরির্বতনের ফলে নেতাদের আর্শিবাদে পতিতা সাপ্লাই করে নেতাদের মনোরঞ্জন করে স্টেশনের ইজারা হাতিয়ে নেন। পেয়ে যায় প্রক্যাশে চাঁদাবাজির লাইসেন্স।

একের পর এক ঘোড়াশাল ও পলাশের সিএনজির স্টেশন গুলি নিয়ে নেয় নিজের আয়েত্বে।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক টুন্ডা হাতেমের এক সহযোগীর তথ্য অনুযায়ী-টুন্ডা প্রতিদিন-ঘোড়াশাল,চরসিন্দুর, ওয়াবদাঘেট,বিআরডিসি মোড় সহ ১৭ টি স্পর্টের সিএনজি স্টেশন থেকে-৩৮ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে।

যা মাসে দাড়ায়-১১ লাক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা।বছরে আসে-১ কোটি ৩৬ লাক্ষ ৮০ হাজার।এছাড়াও খুড়াকি ও পুলিশ ডিউটির নামে-প্রতি সিএনজি থেকে উত্তোলন করা হয়-২৫ টাকা করে প্রতিদিন।

কোন নতুন সিএনজি স্টেশনে আসলে ভর্তি বাবদ নেওয়া হয় ৮/১০ হাজার টাকা।গত-৯ বছর ধরে একিই ব্যাক্তি কি করে সমস্ত ঘোড়াশাল ও পলাশ উপজেলার সিএনজির ইজারা পাচ্ছেন সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সম্প্রতি তার প্রধান সহকারী রুমান পুলিশের কাছে ধরা পরে বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ ঘটনাটিকে দামাচাপা দিতে হাতেম অনেক চেষ্টা করলেও তা জন সমূখ্যে চলে আসে।

সচেতন মহল এই চাঁদাবাজ টুন্ডা হাতেমের বিরোদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে