খোলা বাজার ২৪, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮ঃ চৌদ্দ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় যে গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল, চৌদ্দ বছর পর গত ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। ঘটনা, মামলা, মামলার অগ্রগতি ও রায় সম্পর্কে মাসখানেক ধরে প্রচারমাধ্যমে যেসব বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে, তার সারসংকলন করা সহজ কাজ নয়। আমি সেদিকে যাচ্ছি না। এই লেখার শিরোনামে উত্থাপিত প্রশ্নটিই আমার কাছে বড় এবং কেন্দ্রীয় বিষয়।
তিন বছর আগে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর, যখন আমি আমার পুত্র দীপনের মৃতদেহ দেখতে পাই, দেখতে পাই তার অফিসকক্ষের প্রায় ফ্লোরজুড়ে তার জমাট বাঁধা রক্তের স্তর, তখন আমি নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। সে দৃশ্য সামনে নিয়ে আমি দাঁড়াতে পারছিলাম না, সরে আসছিলাম। সাংবাদিকরা আমাকে আটকে ফেলেন। আমার একটি কথাও বলার প্রবৃত্তি ছিল না। তবু বলেছিলাম, পুলিশ ডাকুন। তার পরও সাংবাদিকরা যখন প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে থাকেন, তখন খুব সহজভাবে আমি বলে ফেলেছিলাম—আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই না। আমার চোখে ভাসছিল টেলিভিশনের পর্দায় দেখা বহু মায়ের, বহু বাবার, বহু ভাইয়ের, বহু বোনের কান্নার পর কান্নার দৃশ্য। চলমান গণজাগরণ মঞ্চের দৃশ্যও আমার চোখে ভাসছিল। মনে পড়ছিল, তিন দশক ধরে চলে আসা মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন ও তার প্রতিক্রিয়ার নানা দৃশ্য। বিচারের পর বিচার নিয়ে পক্ষ-প্রতিপক্ষের তীব্র, উগ্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াও স্মরণ হচ্ছিল। ওই অবস্থায় সাংবাদিকদের চাপে কয়েকবার আমি বলেছিলাম, আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই না। আমি বলেছিলাম, যে রাজনৈতিক ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, আমি তার অবসান চাই। আমি বলেছিলাম, দেশের রাজনীতিতে যে সংস্কৃতি চলমান, তা সংস্কৃতি নয়, অপসংস্কৃতি। আমি বলেছিলাম—সংস্কৃতি পরাজিত, অপসংস্কৃতি কর্তৃত্বশীল। আমি বলেছিলাম—সব মহলে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। এখন মনে হচ্ছে, আমার মধ্যে আমার অজান্তেই তখন কাজ করেছিলেন লিও তলস্তয়, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং। আমার সেদিনের কথাগুলো সবাই ভুলে গেছেন। দীপনও বিস্মৃত। লিও তলস্তয়, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিংয়ের জীবনব্যাপী চেষ্টার কি কোনো মূল্য আছে? যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা নানা দেশে সামরিক আক্রমণ, যুদ্ধ ও গণহত্যা চালান আর মহাত্মা গান্ধীর অহিংসার বাণী প্রচার করেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, হত্যাযজ্ঞ, মামলা ও মামলার রায় প্রসঙ্গে এসব কথা আমার মনে জাগছে। স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো মহলের কাউকেই তো ভাবতে দেখি না এই হিংসা-প্রতিহিংসার অবসান নিয়ে। যেভাবে চলছে, তার মধ্য দিয়ে কি হিংসা-প্রতিহিংসার অবসান ঘটবে কোনো দিন? গান্ধীর কথা আরেকটু বলি। আদালতের বিচার দিয়ে কি রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসার ও হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটবে কোনো দিন?
গান্ধী রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন। তাঁর চিন্তায় ও আচরণে সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। সেটি মুখ্য নয়, তাঁর চিন্তা ও আচরণের মহান দিকটাই মুখ্য এবং সেটিই জনগণের জন্য পরম কল্যাণকর। সত্যাগ্রহ, অহিংসা, সর্বোদয় ও অসত্যানুসারীদের প্রতি অসহযোগ নিয়ে তাঁর যে দর্শন, তা চিরকাল মূল্য পাওয়ার মতো। তবে গান্ধী বোকাও ছিলেন। তিনি মনে করতেন, মানুষ বুদ্ধিমান, বিবেকবান, চিন্তাশীল, কর্মঠ প্রাণী। তিনি আরো মনে করতেন, মানুষের নৈতিক চেতনা বিকাশশীল—জেনারেশনের পর জেনারেশনের চেষ্টার মধ্য দিয়ে মানুষ ক্রমে নিজের পাশবিক প্রবণতাকে দমন করে মানবীয় গুণাবলিতে ঋদ্ধ, অহিংস ও সর্বজনীন কল্যাণে আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং সর্বজনীন কল্যাণের মধ্যেই প্রত্যেকে নিজের কল্যাণ দেখবে। তিনি এতই বোকা ছিলেন যে তাঁর ধারণা হয়েছিল, ক্রমে মানুষ হয়ে উঠবে নিরন্তর প্রগতিশীল। তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস ছিল, সত্য অবলম্বন করে এগোতে এগোতে মানুষ পৃথিবীকেই স্বর্গে পরিণত করবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ সত্যের পথ পরিহার করে চলবে এবং নৈতিক চেতনা হারিয়ে চলবে—এটা বোঝার সামর্থ্য গান্ধীর ছিল না। গান্ধী বেঁচে থাকলে আজকের মানবজাতিকে সামনে নিয়ে কী ভাবতেন? কী করতেন?
স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো মহলেই এমন কাউকে খুঁজে পাই না, যিনি হিংসা-প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক সম্প্রীতির কথা ভাবছেন। তার চেয়েও মর্মান্তিক ব্যাপার এই যে সে রকম কোনো সামাজিক শক্তির কামনাও জনসাধারণের মধ্যে নেই। তার পরও আশা করতে চাই। গান্ধীর মতো বোকামি করতে চাই। আশা করতে চাই যে মানুষের মন বদলাবে। মানুষ জন্তু-জানোয়ার থেকে আলাদা থেকে মানবিক গুণাবলিতে সমৃদ্ধ হয়ে চলবে। ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত—সর্বত্রই শুভবুদ্ধি জয়ী হবে এবং অশুভবুদ্ধি পরাজিত থাকবে। শুভবুদ্ধিকে জয়ী করতে এবং জয়ী রাখতে হবে, আর অশুভবুদ্ধিকে পরাজিত করতে এবং পরাজিত রাখতে হবে। যে আলোচনা দ্বারা হিংসা-প্রতিহিংসা বাড়বে, সে রকম আলোচনায় যেতে চাই না।
‘চৌদ্দ বছর আগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে যান। আহত হয় শতাধিক নেতাকর্মী।’ —এই তথ্য প্রথম থেকেই বারবার সংবাদপত্রে প্রচারিত হয়ে আসছে। এটাও প্রথম থেকেই প্রচারিত হয়েছে যে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি) এই অভিযান চালিয়েছে। হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানের নামও গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে সামনে আসে। বলা হয়েছে যে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যা করা ছিল এই হামলার মূল উদ্দেশ্য। সংবাদে কখনো কখনো বলা হয়েছে যে হরকাতুল জিহাদ এর আগেও শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। জনশ্রুতি দাঁড়িয়েছিল যে এই পরিকল্পনার সঙ্গে তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকারের কিছু লোক যুক্ত হয়েছিলেন এবং তাঁরা মুফতি হান্নানকে সহায়তা করেছিলেন। হাওয়া ভবন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী প্রমুখের কথা প্রচারমাধ্যমে এসেছে। এনএসআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক আবদুর রহিম, ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন পরিচালক রেজাকুল হায়দার এবং সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু লোকের মুফতি হান্নানের সঙ্গে সংযোগের কথাও সংবাদমাধ্যমে ও জনশ্রুতি আকারে প্রচারিত হয়েছে। জঙ্গিবাদী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ ও মুফতি হান্নানের ভূমিকার কথা নানাভাবে প্রচারিত হয়ে আসছে। মুফতি হান্নানের আগেই ফাঁসি হয়েছে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে হামলার দায়ে। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রধান আসামি হিসেবে দ্রুত বিচার আদালত-১ হান্নানের জবানবন্দি নিয়েছেন। মামলার ইতিহাস দীর্ঘ। এই দীর্ঘতা সম্পর্কে মনে পড়ে ইংরেজদের একটি প্রবাদ—justice delayed justice denied. ইংরেজদের আরেকটি প্রবাদ—Better late than never বিচারের বেলায় তারা প্রয়োগ করে না; সেটি প্রয়োগ করে লাভজনক নানা ব্যাপারে।
গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় হলো। এতে ১৯ জনের প্রাণদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। যাদের নাম আগে থেকে প্রচারমাধ্যমে এসেছে, তাদের সবারই হয় প্রাণদণ্ড, না হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে।
রায় ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই সরকারি মহল ও সরকারি দল থেকে রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে নানা রকম মন্তব্য প্রকাশ করা হচ্ছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘তারেক রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরো কোনো কোনো মন্ত্রী রায়ের পক্ষে নানা রকম মন্তব্য করেছেন। কোনো কোনো মন্তব্য হয়তো উসকানিমূলক হয়েছে। বিএনপি রায় প্রকাশের ঘণ্টা দুই পর থেকে রায়ের প্রতি অস্বীকৃতি জানিয়ে নানা রকম পাল্টা মন্তব্য করেছে এবং এই রায়ে অসম্মতি ও অসন্তোষ প্রকাশ করে পাঁচ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সরকার সংঘাত-সংঘর্ষ যাতে না হয়, তার জন্য পূর্ব থেকেই কঠোর পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে চলছে। তবে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে।
রায় নিয়ে সরকারের, সরকারি লোকদের ও আওয়ামী লীগের ভূমিকা আর বিএনপির ভূমিকা পাল্টাপাল্টির। রাজনৈতিক সব মামলার ক্ষেত্রেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেমন হয়ে আসছে, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে। কোন পক্ষ ঠিক কথা বলছে, আর কোন পক্ষ মতলবি কথা বলছে, তা জনগণ বিচার করছে। তবে জনগণ পাল্টাপাল্টি দেখতে দেখতে এবং অবস্থার অবনতি দেখতে দেখতে ক্লান্ত ও নিস্পৃহ। আমি বলে থাকি যে জনগণ ঘুমন্ত। জনগণ ঘুমন্ত থাকলে সরকারের সুবিধা হয়। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত প্রবল, আর বিএনপি ও অন্য সব দল অত্যন্ত দুর্বল। সরকার অত্যন্ত কঠোর দমননীতি ও মারমুখো কর্মসূচি নিয়ে চলছে। এই দমননীতি ও মারমুখো কর্মসূচি জনসাধারণ পছন্দ করছে না। তবে জনগণ ঘুমন্ত ও সর্বংসহা। এই রকম জনগণ দিয়ে কাজ হয় না, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়ে স্থানীয় কয়েকটি দূতাবাসে এবং ওয়াশিংটনে ও নিউ ইয়র্কে ছোটাছুটি করে।
রবীন্দ্রনাথ অহিংসার আদর্শে বিশ্বাস করতেন। গান্ধীর সঙ্গে কোনো কোনো ব্যাপারে তাঁর মতভেদ ঘটলেও মূলত গান্ধীনীতিরই সমর্থক ছিলেন তিনি। সেই রবীন্দ্রনাথও মৃত্যুর আগে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনে লিখেছিলেন—
‘নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,
শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস।
বিদায় নেবার আগে তাই
ডাক দিয়ে যাই
দানবের সাথে যারা লড়িবার তরে
প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে।’
মহাত্মা গান্ধীও তাঁর অহিংসার আদর্শ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন : ‘আমার অহিংসায় হিংসারও স্থান আছে।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, যেখানে হিংসা অপরিহার্য, অহিংসা কাপুরুষতার পরিচায়ক, সেখানে হিংসার আশ্রয় নেওয়াই কর্তব্য। গান্ধী সাহসের প্রশংসা করতেন, কাপুরুষতাকে অনুচিত বলতেন।
গান্ধী তাঁর আদর্শের বাস্তবায়নে সফল হননি। ধর্মপ্রবর্তক ও আদর্শ-প্রচারকদের মধ্যে কে সফল হয়েছেন, ধর্ম ও আদর্শ নিয়ে? হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, মার্ক্সবাদ, জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ নিয়ে কী চলছে আজ পৃথিবীতে? সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর যুক্তরাষ্ট্রের ও বিশ্বব্যাংকের পরিচালনায় যে বিশ্বায়ন চলছে, তা মানবজাতিকে কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে? সভ্যতার পথে, না বর্বরতার পথে? দীপনের মৃত্যুর পর যে কথাগুলো বলে আমি শুভবুদ্ধির উত্থান ও অশুভবুদ্ধির পরাজয় কামনা করেছিলাম, আজ ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মামলার রায়ের পরও সেই কথাগুলো আবার আমার দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। শুভবুদ্ধির বিজয় ও অশুভবুদ্ধির পরাজয় ঘটলে এবং শুভবুদ্ধির বিজয় স্থায়ী হলে এসব ঘটনার বিচার সম্পন্ন হবে। শুধু আইন-আদালত, জেলখানা ও ফাঁসিকাষ্ঠ দিয়ে হবে না।
লেখক : প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়