শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,শুক্রবার,০২ নভেম্বর ২০১৮ঃ বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : যেখানে ছিল সপ্নের বসত ঘর সেখানে আজ অথৈ পানি। স্বপ্ন ভেঙ্গে ঠিকানা হারিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছেন এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরদার ও তার তিন ভাইদের বসতবাড়ি এক রাতেই বিলীন হয়েছে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে। ফলে বতস ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ৭১’র বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরদার ও তার তিন ভাইদের পরিবার। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে আজ তারা নিঃস্ব ও রিক্ত।

প্রতিদিনের মতো গত বুধবার, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তারা। হঠাৎ করে গভীর রাতে ভাঙ্গন শুরু হয়। টেরপেয়ে কোনমতে জীবন বাচিয়েছেন। তবে রক্ষা করতে পারেননি স্বপ্নের বসত ভিটা ও গবাধীপশু। নদী গর্ভে হারিয়েগেছে শত শত ফদল ও বনজ বৃক্ষ। সবকিছু হারিয়ে তারা আজ নদীর তীরেই ছাপড়া ঘর তুলে বসবাস করছেন। তবে শীত মৌসূমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছাপড়া ঘরে নদীর তীরে কিভাবে থাকবেন এ চিন্তাই খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেককে। ১ নভেম্বর সরেজমিনে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সরদারের পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে। কান্না জড়িত কন্ঠে তারা বলেন ভাঙ্গনের পরে প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তি সহ অনেককেই জানানো হয়েছে তবে কেউই তাদের খোঁজখবর নেননি। এমনকি কোন জনপ্রতিনিধিরাও তাদের পাশে দাঁড়াননি।

সংবাদকর্মী শুনে আক্ষেপ করে বলতে ছিলেন এখন আপনারাই আমাদের শেষ ভরসা। আমাদের অসহায়ত্বের কথা আপনাদের লিখনির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আর্কষন হলে আমরা মাথা গোঁজারমতো ঠিকানা খুঁজে পাবো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের কাছে জানতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন হোসেন জানান,নদীর ভাঙ্গনে যাদের বসত ভিটা বিলীন হয় তারা সবদিক দিয়েই নিঃস্ব হয়ে যান। খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে সে ইউপি সদস্য কতটুকুই বা করতে পারেন।

এদিকে সন্ধ্যা নদী থেকে বালু উত্তোলন না করতে হাই কোর্টে করা একটি রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায়,বরিশাল জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ইজারা না দেওয়ার পরেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বছরের পর বছর সন্ধ্যা নদী থেকে অবৈধ পন্থায় অব্যাহত ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে অন্যান্য এলাকা ভাঙ্গনে পতিত হচ্ছে বলে মনে করেন নদী শাসন কর্মকর্তারা।