খোলা বাজার ২৪,রবিবার,০৪ নভেম্বর ২০১৮ঃ (মোঃরাসেল মিয়াঃনরসিংদীপ্রতিনিধি) নরসিংদীর পলাশে আশংকাজনক হারে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।সম্প্রতি ২টি শিশু ধর্ষণ,আরো একটি শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৩জন।এমনকি চলতি বছরের ২৪ জুলাই গজারিয়া ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার মতো ঘটনা ও ঘটেছে।
এসব ঘটনায় পলাশ থানা পুলিশ ধর্ষকদের আটক করতে ও সক্ষম হয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল ২ নভেম্বর শুক্রবার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পাইকসা গ্রামে চার বছরের এক শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এমন অভিযোগ এনে আলমগীর হোসেন(৩৫)নামের এক যুবককে মারধর করে পুলিশের কাছে দিয়েছে স্থানীয়রা।আলমগীর হোসেন ঘোড়াশালের পিএইচপি(রড)ফ্যাক্টরীতে ম্যাকানিকের কাজ করতেন ও পাইকসা গ্রামের রহিম মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন।তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কোপাতলায়।
এলাকাবাসী জানায়,আলমগীর শুক্রবার দুপুরে ৪ বছরের শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে তার বাড়া করা বাসায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এমন সময়ে শিশুটি চিৎকার শুরু করলে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।পরে আলমগীর কে মারধর করে পলাশ থানায় খবর দেয়।
পলাশ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান,ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পলাশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।এই মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে।
শিশুদের নিয়ে কাজ করেন এমন সংগঠন,আইনজীবী মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন শিশু নির্যাতন কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার পাশাপাশি অভিবাকদের অসচেতনতার কারনে বাড়ছে জগন্যতম এই ঘটনাগুলো।মাদকের আগ্রাসন ও পর্ণোগ্রাফীর কারনে ও বাড়ছে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা।এমন পরিস্থিতিতে তাদের পরামর্শ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা,প্রশাসনসহ সমাজের সকলকে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিরোধে আরো বেশি প্রচারনা চালাতে হবে।