খোলা বাজার ২৪,মঙ্গলবার,০৬ নভেম্বর ২০১৮ঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনসভা চলছে। জনসভায় জোটের নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। ইতোমধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীরা উদ্যোনের বাহিরে আশপাশেও অবস্থান নিয়েছে।
তবে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন জনসভায় আসতে তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। রাস্তায় পরিবহন সংকট করা হয়েছে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা নেতাকর্মীদের ঢাকার প্রবেশ পথে তল্লাশি করা হয়েছে। অনেক মিছিলে বাধা দেয়া হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদী বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্রিজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা মনে করেছে সবকিছু বন্ধ করে দিলে জনসভায় মানুষ আসবে না। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ জনসভায় উপস্থিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নেতাকর্মীদের জোয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে আগেই জনসভা শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে অনানুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে যায়। পরে দুপুর দেড়টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগেই বেলা ১০টার পরপরই আসছে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা বিশাল বিশাল মিছিল সহকারে উদ্যানে প্রবেশ করেন। ঘণ্টাখানেক পরই উদ্যান লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। দুপুর ১টার আগেই জনসভাস্থল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
জনসভার শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরর সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর এ্যানীর সঞ্চালনায় জনসভায় প্রধান অতিথি গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন, প্রধান বক্তা জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ উপস্থিত আছেন।