বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,২২ নভেম্বর ২০১৮ঃ মো:রাসেল মিয়াঃ নরসিংদী প্রতিনিধিঃ মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানার নেতৃত্বে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলেজ ছাত্রকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একদিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালীদের চাপে মামলা নিচ্ছেনা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধবদী মহাবিদ্যালয়ের অটোস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কলেজ ছাত্রের নাম ফয়সাল রহমান (১৬)। সে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। সে মাধবদী শহরের ভগিরথপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
স্কুল ছাত্রের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধবদী মহাবিদ্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলার বল পাশ্ববর্তী রাস্তায় চলাচলকারী অটোরিক্সায় লাগলে অটোচালকদের সাথে ফয়সাল ও তার বন্ধুদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধানের জন্য ফয়সালের পিতা আবুল হোসেন ও চাচা মাধবদী কলেজ অটোষ্ট্যান্ড আসে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা তার সহযোগীদের নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় কলেজ ছাত্র ফয়সালকে। পিটিয়ে আহত করা করা হয় তার বন্ধু, চাচা ও তার পিতাকে। আহতদের প্রথমে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ফয়সালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় আহত কলেজ ছাত্রের বাবা আবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনায় মাসুদ ও আনোয়ারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩৫ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। উল্টো আমাদেরকে মাধবদী মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক ডেকে ঘটনাটি তিনি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা সাধারণ মানুষ, এই পরিস্থিতিতে আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। যারা আমার ছেলেকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
এদিকে কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করার পর পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো ঘটনার আপসের জন্য প্রভাবশালীদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। যা মাধবদী জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।