মঙ্গল. এপ্রি ১৬, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খােলাবাজার২৪,বুধবার ২জানুয়ারি ২০১৯ঃ  মানুষের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে থাকে। এর ফলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। ইউরোপের বিজ্ঞানীরা এর সার্বিক সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা সমস্যা সামাধানে কৃত্রিম অরগানিক লেন্স তৈরি করেছেন। তবে সমস্যা সমাধানে এই লেন্স কতটুকু ভূমিকা রাখবে তা এখন দেখার বিষয়।

মানুষের বয়স বাড়লে ‘প্রেসবায়োপিয়া` নামের এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়৷ চোখের লেন্স ধীরে ধীরে শক্ত হতে থাকায় সবকিছু দেখতে সমস্যা হয়৷

বিজ্ঞানীরা গোটা প্রক্রিয়াটা এখনো পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও লেন্স তার নমনীয়তা এবং দূরত্ব অনুযায়ী ফোকাসের ক্ষমতা হারালেই এমনটা ঘটে বলে ধরে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী হিসেবে মারিয়া খেসুস ব্লাংকো মন্টেস বলেন, ‘৪০ বছর বয়স হবার পর আমার দৃষ্টিশক্তি অনেক খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে কাছের জিনিস দেখতে সমস্যা হতো। আমি কিন্তু চশমা পরতে চাই নি। তাই এই হাসপাতালে চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়েছিলাম।’

এখানকার আই সার্জেনরা মানুষের চোখের শক্ত হয়ে যাওয়া ক্রিস্টালাইন লেন্সের জায়গায় কৃত্রিম, মাল্টিফোকাল লেন্স বসিয়ে দিতে পারেন। তখন দূরের ও কাছের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

এই আইডিয়া অসাধারণ হলেও এই মাল্টিফোকাল লেন্স এখনো পুরোপুরি নিখুঁত হয়ে ওঠেনি। খিমেনেস-ডিয়াস হাসপাতালের ইগনাসিও খিমেনেস-আলফারো মোরোটে বলেন, ‘প্রেসবায়োপিয়ার জন্য আরো সমাধানসূত্র খোঁজা প্রয়োজন, যা মানুষের ক্রিস্টালাইন লেন্সের আচরণ অনুকরণ করতে পারে।

আমরা যে লেন্স বসাচ্ছি, তা কাছের, মাঝের ও দূরের বস্তু দেখা সহজ করলেও ঠিক আসল প্রক্রিয়ার অনুকরণ করতে পারে না।

এক ইউরোপীয় গবেষণা প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার সমাধান করতে এমন যন্ত্রপাতি সৃষ্টি করেছেন, যার সাহায্যে অরগানিক ইমপ্লান্ট স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তার আকার বদলাতে পারে।

প্রকল্পের গবেষক সুসানা মারকোস বলেন, ‘অ্যাকোমোডেটিভ লেন্স ভবিষ্যতের লেন্স হতে চলেছে বলে আমাদের বিশ্বাস, কারণ, সেটি মানুষের চোখের ক্রিস্টালাইন লেন্সের ক্ষমতা নকল করতে পারে৷’

লেজার যন্ত্রের সাহায্যে সার্জেন চোখের ভেতরের কাঠামো খতিয়ে দেখে এই মুহূর্তে সহজলভ্য বিকল্পগুলির মধ্য থেকে সবচেয়ে উপযুক্ত লেন্স বেছে নিতে পারেন৷

সুসানা মারকোস বলেন, ‘আমরা এমনকি ব্যক্তি অনুযায়ী ইনট্রাঅকুলার লেন্স তৈরি করার কথা ভাবছি, যা সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যেক রোগীর নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা হবে।’