শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ০৩জানুয়ারি ২০১৯ঃভোটের দিন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়া বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা সে চিঠিতে তিনি ভোটের দিন তার ওপর হওয়া শারীরিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।

চিঠিতে হিরো আলম লিখেছেন, ‘ভোটের দিন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আমি নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা ভোটকেন্দ্রে যাই। ভোট কেন্দ্রে বহিরাগত লোক দেখে প্রতিবাদ করলে চাকলমা গ্রামের শাহজাহান আলী, সুইট, রতন, মানিক, নন্দীগ্রাম সদরের রইচ উদ্দিন, কৈগাড়ী গ্রামের মোয়াজ্জেমসহ অন্তত ১৫-২০ জন আমাকে বেধড়ক মারধর করে।’

‘হামলাকারীরা আমার সমর্থকদের ও একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। আতঙ্কে উপস্থিত ভোটাররা ছোটাছুটি করছিল। একজন পুলিশ থাকলেও তিনি আমাকে ও আমার সমর্থকদের রক্ষা করার চেষ্টা করেননি। মারধরের ঘটনা ভিডিও করতে গেলে হামলাকারীরা নববার্তার বগুড়া প্রতিনিধি রাসেলের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।’

আলম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে ভিডিও ক্যামেরা ও আমার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। আমাদের মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। আমার ওপর হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আলম লিখেছেন, ‘কীভাবে একজন প্রার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে আপনি দেখুন! সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে আপনার সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। মারধরের সময় ওরা আপনার দলের নাম বলেছিল বলেই আমি সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নাম বলেছি। এজন্য আমি দুঃখিত এবং অনুতপ্ত।’

বিচার চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম খোলা চিঠির মাধ্যমে বিচার দিচ্ছি। আমি কার কাছে যাব। মায়ের কাছেই সন্তানেরা বিচার দেয়। কষ্টের কথাগুলো মায়ের কাছেই বলে। আমি গরিব মায়ের গরিব ছেলে। আমার আবেগভরা কথাগুলো আপনার কাছে তুলে ধরলাম।’

এবারের নির্বাচনে হিরো আলম এরশাদের জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু দলটি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে ভোটে দাঁড়ান। এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ভুল থাকায় নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা আটকে দেয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। তবে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন তাকে মারধরের ঘটনার পরে তিনি ভোট বর্জন করেন।