শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, শুক্রবার, ২৫জানুয়ারি ২০১৯,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ ২৩ জানুয়ারি বুধবার রাতে মন্ত্রী হয়ার পরে প্রথমবারের মতো পিরোজপুর আসেন শ ম রেজাউল করিম। তিনি ২৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় করেন।সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার দ্বারা কেউ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হবেন না।

মতবিনিময় সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, কে বিএনপি করেন, কে ওয়ার্কার্স পাটি করেন, কে আওয়ামী লীগ করেন, কে অন্য দল করেন, সেটা মুখ্য হবে কেন? রাজনীতি হবে দেশের মানুষের সেবার জন্য। সততার সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি কিনা রাজনীতিতে সেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজ, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মালেক, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার প্রমুখ।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, মাদক, ইভটিজিং ও চাঁদাবাজিতে প্রভাব বিস্তার করার জন্য রাজনীতি যেন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না হয়। আমি চাই সবাই একসঙ্গে মিলে পিরোজপুরসহ সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করি। এখনও অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা অনাহারে, অর্ধাহারে রয়েছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের এবং বয়স্ক মানুষ, বিধবা ও বিপন্নদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছেন। তারপরও অনেককে আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে পারিনি। সংবিধানে কতগুলো মৌলিক ভিত্তি আছে- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, এগুলো নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এগুলো নাগরিককে দয়া দেখানো নয়। এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষে সরকার কাজ করছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আজ বাংলাদেশের কোথাও কিন্তু লঙ্গরখানা নেই। কোথাও কোন মানুষ বিবস্ত্র নেই। বাংলাদেশের কোনও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে না। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা যাচ্ছে না। স্যাটেলাইট ক্লিনিক, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া, বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা দেওয়া, মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাড়িঘর নেই তাদের বাড়িঘর করে দেওয়া, তাদের সন্তানদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া অপরিহার্য।