বৃহঃ. এপ্রি ১৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, রবিবার ,১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ঃ যানজট রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী। দিনদিন যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ফলে যানজটে রাজধানী ঢাকার অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে। ২০১৯ সালে যানজটে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের এক নম্বরে অবস্থান করছে। এর আগে ২০১৮ এবং ২০১৭ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তবে, ২০১৬ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয় এবং ২০১৫ সালে এ অবস্থান ছিল অষ্টম।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বহুজাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নামবিও’র প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯’তে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে যানজটপূর্ণ শহরের এই তালিকায় ঢাকার পরেই রয়েছে বাঙালিদের আরেক শহর ভারতের কলকাতা। তৃতীয় অবস্তান ভারতের রাজধানী দিল্লি। বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ ২০৭টি শহরকে বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা প্রণয়ন করেছে নামবিও। যানজটের জন্য ঢাকার স্কোর ২৯৭.৭৬, কলকাতার ২৮৩.৬৮ এবং দিল্লির ২৭৭.৮১।

এদিকে এবারও বিশ্বের সবচেয়ে কম যানজটপূর্ণ শহরের মধ্যে গতবারের শীর্ষস্থান ধরে  রেখেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এরপর রয়েছে চেক রিপাবলিকের শহর বিয়ারনো, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, সুইডেনের গোথেনবার্গ ও জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট।

এ সূচক প্রণয়নে কয়েকটি উপসূচক ব্যবহার করেছে নামবিও। এর মধ্যে রয়েছে- সময় সূচক, সময় অপচয় সূচক, অদক্ষতা সূচক ও কার্বন নিঃসরণ সূচক। এর মধ্যে সময় সূচক, সময় অপচয় সূচক এবং অদক্ষতা সূচকে ঢাকার অবস্থান রয়েছে শীর্ষে। আর কার্বন নিঃসরণ সূচকে ঢাকার অবস্থান ১০৯তম।

সময় সূচকের ক্ষেত্রে কোনো গন্তব্যে পৌঁছানোকে বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মস্থল বা স্কুলে যাতায়াত সময়কে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর সময় অপচয় উপসূচকে অসন্তোষের বিষয়টি উঠে এসেছে। জনসংখ্যার আধিক্য ও ঘনবসতিও এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়েছে। অদক্ষতার সূচক মূলত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা নির্দেশ করে। অর্থাৎ ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব ফেলছে, তা বিবেচনা করা হয়েছে। আর যানজটে সময় অপচয়ের কারণে নিঃসরিত অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা নির্দেশ করে কার্বন নিঃসরণ সূচক।

বিশ্বের বিভিন্ন শহরের নানা পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে অনলাইনে তা প্রকাশ করে নামবিও। এর মধ্যে রয়েছে- জীবনযাপনের ব্যয়, অপরাধের হার, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান ও যানজটের অবস্থা। প্রতিষ্ঠানটি তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ফোর্বস, বিজনেস ইনসাইডার, টাইম, দ্য ইকোনমিস্ট, বিবিসি, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, চায়না ডেইলি, দ্য টেলিগ্রাফসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিভিন্ন সংবাদপত্র ব্যবহার করে।