শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,রবিবার , ০৩ মার্চ ২০১৯ঃ বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের মধ্য দিয়েই পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, এমপি। বিশ^ বন্যপ্রাণি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বন বিভাগের উদ্যোগে আগারগাঁও বন ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উল্লেখ্য বিশে^র বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে জাতিসংঘ ৩ মার্চকে বিশ^ বন্যপ্রাণি দিবস হিশেবে ঘোষণা করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে “Life below water : for people and plant “মানুষ ও ধরিত্রীর প্রয়োজনে জলজ প্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন।”

মন্ত্রী বলেন, সারাবিশে^ জনসংখ্যাবৃদ্ধি, নগরায়ণ, বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচার, বন্যপ্রাণির অবৈধ ব্যবসা, বন ও বনভূমি হ্রাস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বন্যপ্রাণির সংখ্যা আশংকাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর বন্যপ্রাণি ছিল। আমাদের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে গত কয়েক দশকের ব্যবধানে আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে একশিঙা গন্ডার, বারশিঙা, প্যারাহরিণ, রাজশকুন, বাদিহাঁস, গোলাপীশির হাঁস, ময়ূর, মিঠাপানির কুমির ইত্যাদি।

বিশ^ বন্যপ্রাণি দিবসের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিকরা। এই দিনটি বন্যপ্রাণি সংক্রান্ত অপরাধ দমনের জন্য আমাদের সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং CITES বিধিমালা ও আইনকানুন সম্পর্কে জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত দেশ, সহযোগী সংগঠন,পরিবেশবাদী সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গকে উৎসাহ যোগাবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বনবিভাগ সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে ৩টি এবং পদ্মা নদীর নগরবাড়ী আরিচা এলাকায় ৩টিসহ মোট ৬টি ডলফিন প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে। এছাড়া কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া দ্বীপে সামুদ্রিক কাছিম ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে বনবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। পরিযায়ী পাখির সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে East Asian Australasian Flyway Network Partnership এর সম্মতিক্রমে বাংলাদেশে ২০১১ সালে টাঙ্গুয়ার হাওড়, হাকালুকি হাওড়, হাইল হাওড়, নিঝুমদ্বীপ ও সোনাদিয়া দ্বীপকে Flyway site ঘোষণা করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপণাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে ৪১ টি এলাকাকে Protected Area ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৭টি জাতীয় উদ্যান, ২০টি অভয়ারণ্য, ০১টি ইকোপার্ক, ০২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ও ০১টি মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা। In-situ এবং ex-situ অবস্থায় বন্যপ্রাণির বংশবিস্তার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে কক্সবাজার ও গাজীপুরে ০২টি সাফারীপার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।