শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,৭মার্চ ২০১৯ঃ আদালতের নির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে দেশনেত্রীর পছন্দ মতো বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত ভর্তি করার আহবান জানিয়েছেন। অত্যন্ত পরিতাপ নিয়ে বলছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন-কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শিগগিরই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকৎসা করা হবে। তার আগের দিন নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর তিনদিন চলে গেছে কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেই। আদালতের নির্দেশ ও মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এখনও কার্যকর হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান ম্যান্ডেটবিহীন মিডনাইট ইলেকশনের সরকার। সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ভয়ংকর পর্যায়ে উপনীত হলেও তাঁকে ফেলে রাখা হয়েছে গুমোট স্যাঁতসেতে পরিত্যক্ত কারাগারে। এর ওপর প্রতিনিয়ত সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী নেতারা সমস্ত শিষ্টাচার, সুরুচিকে অবজ্ঞা করে দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে কটুক্তি ও ব্যঙ্গ করে যাচ্ছেন। এটি কেবল মনুষ্যত্বহীন বিবেকবর্জিত মানুষদের দ্বারাই সম্ভব।’

দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়ার অকল্পনীয় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে সাজানো মিথ্যা মামলায় কারাগারে রেখে বর্বর কায়দায় গত এক বছর যাবৎ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছেন। দেশনেত্রীর প্রতি এই প্রতিহিংসা এবং হিংস্রতার প্রধান কারন জনগণ জানে।’

এ সময় তিনি জানান, ‘আমাদের নেত্রী বেগম জিয়া তিন বার নয়, চার বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নির্বাচিত হয়। এরপর ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী যিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

রিজভী আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের দাবী এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি-শাসিত থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট জাতীয় সংসদে সংবিধানের ঐতিহাসিক দ্বাদশ সংশোধনী বিল সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়। সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার অধীনে খালেদা জিয়া ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু,শাহিদা রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।