তারপর কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের সঙ্গে জুটি হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে দিলদারের জুটি হিসেবে নাসরিনের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।
নানা রকম চরিত্রে হাস্য রসাত্মক দৃশ্য নিয়ে হাজির হতেন তিনি। কমেডির পাশাপাশি কিছু নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেও প্রংশসিত হয়েছেন।
নায়িকা হওয়ারও প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তবে সে ভাগ্য আর হয়নি তার। ‘দিলদারের নায়িকা’ হিসেবেই জনপ্রিয় থেকে গেলেন নাসরিন। তার ভাষায়, ‘আমি কাছের মানুষদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি বারবার। তাই নায়িকা হতে পারিনি।’
অনেক বড় নায়িকারাও আমার সঙ্গে গুটিবাজি করেছে। আজকের মেয়েদের মতো অতো বুদ্ধিমান ছিলাম না, নিজের প্রতি যত্নশীল ছিলাম না। তাই অনেক সুযোগ হেলায় হারিয়েছি।
একসময় আফসোস হতো। এখন আর হয় না। যেভাবে আল্লাহ রেখেছেন সেভাবেই খুশি আমি, যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে। তবে কষ্ট হয় সিনেমার অবস্থা দেখে। সিনেমা নেই। কাজ নেই। করুণ দিনযাপন করতে হচ্ছে আমার মতো শিল্পীদের।
জীবনের কাছে আর বেশী কিছু চাননা নাসরিন, এখন কেবল সন্তানদের মানুষ করতে চান তিনি। নিজের পূরণ না হওয়া স্বপ্নগুলো তাদের মধ্য দিয়ে পূরণের ব্রত নিয়েছেন। এক মেয়ে এবং এক ছেলের মা নাসরিন দোয়া চান ভক্তদের কাছে, সবার কাছে। স্বামী রিয়েলকে নিয়ে সুখে জীবনটা কাটাতে চান।
এদিকে, গত ৮ মার্চ শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বনভোজনে এসেছিলেন নাসরিন। সেখানেই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন নাসরিন।