গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, পিরোজপুর জেলার উন্নয়নে একটি মেগা প্রজেক্ট হাতে নেয়া হচ্ছে। তাই পিরোজপুরের কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ করার জন্য সব বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রজেক্ট দিতে হবে। পিরোজপুর শহর রক্ষা বাঁধ, নদী ভাঙ্গন, জেলার স্বরূপকাঠী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ, ইন্দেরহাট-স্বরূপকাঠীর সন্ধ্যা নদীর উপর সেতু নির্মানসহ পিরোজপুর জেলার উন্নয়নে একাধিক প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে বিশ্বাসী। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দিতে চান। তাই আমাদের সকলকে যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের আগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, সরকার কাজ করতে চায়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যথেষ্ট অর্থও রয়েছে। আর আমি জনগণের খেতমদ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আমি জনগণের উন্নয়নের জন্য, জেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। আমাকে তাই প্রজেক্ট দিয়ে কাজে লাগান। প্রজেক্ট পাশ করানোর, অর্থ বরাদ্ধ আনার দায়িত্ব আমার।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী সভায় উপস্থিত সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন এবং এলাকার জনগণের সাথে ভাল আচরণ করুন। এ সময় তিনি অন্যান্য পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারী কাজে নিয়োজিত। তাই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আপানারও তাদের সাথে ভাল আচরণ করবেন। সরকারী কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন না। নিয়মনীতি মেনে কাজ করুন। তাদের সহযোগিতা করুন।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান খালেক, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আক্তরুজ্জামান ফুলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব, পিরোজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি জহিরুল হক টিটু প্রমুখ।