শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বুধবার, ০৮মে ২০১৯ঃ হিন্দুস্তানের কোনও শক্তি মোদীকে আর প্রধানমন্ত্রী হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতোর সমর্থনে সভা করতে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। তাকে এ সময় আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে।

ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এত দিন রাহুল গান্ধী বলে আসছিলেন, মোদীর সরকারকে পরাস্ত করতে হবে। কিন্তু  পঞ্চম দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। মানুষ তাকে শিক্ষা দিয়েছে, জোর ধাক্কা খেতে চলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, মোদীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির আর কোনও লাভ নেই। উনি ঘৃণা ছড়ান, খারাপ কথা বলুন। আমরা ভালবাসা দিয়েই তাকে  (মোদী) হারাতে যাচ্ছি। মানুষ তাকে শিক্ষা দিয়ে দিয়েছে।’’

আর ৪৮ ঘণ্টা পরে পুরুলিয়াতে সভা করার কথা রয়েছে মোদীর। যার উল্লেখ করে কংগ্রেস সভাপতি এ দিন কটাক্ষ করেছেন, ‘‘এখানে তো আসবেন মোদীজি, শুনেছি। দেখবেন সে দিন, আত্মবিশ্বাস নেই। কৃষকদের জন্য প্রতিশ্রুতি, বেকারদের জন্য চাকরি— এ সব এখন আর বলতে গেলেই গোলমাল। মানুষ ধরে ফেলেছেন সব।’’

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বাংলায় তার আগের দু’দফার সভার মতো তৃতীয় বারে রাহুল কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলকে কড়া আক্রমণের পথে যাননি। কৃষকদের ঋণ মকুব এবং তরুণদের কর্মসংস্থান মমতার আমলে হয়নি, এই দুই অভিযোগ ফের উল্লেখ করেছেন শুধু।

কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যায়, মোদীকে হারিয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাস থেকেই তার এই কৌশল বদল। ভোটের পরে কেন্দ্রে নতুন সরকার গড়তে আঞ্চলিক নানা দলের সমর্থন লাগতে পারে, এই ভাবনা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আর সুর চড়াতে চাননি রাহুল। বিরূপ কিছু বলেননি বামেদের সম্পর্কেও।

কোটশিলার সভার পরে এবিপি নিউজ ও এবিপি আনন্দের মু‌খোমুখি হয়েও তিনি বলেছেন, তৃণমূল নেত্রী এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনও বিরোধ তাদের নেই। মমতা এবং তার লড়াইয়ের প্রতি তিনি বরং শ্রদ্ধাশীল।

রাহুল অবশ্য মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি যে, দেশ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই কংগ্রেসই করছে। ঝালদা-২ ব্লকের সভায় রাহুল এ দিন সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমারকে।

নিজের বক্তৃতার পরে রাহুলই এগিয়ে দিয়েছিলেন অজয়কে। তিনি বলেছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে যে হাওয়া উঠেছে, তাকে পুরুলিয়া দিয়ে বাংলাতেও আনতে হবে। বিজেপিকে মুখের মতো জবাব তৃণমূল দিতে পারবে না, পারবে কংগ্রেস।