শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, মঙ্গলবার, ১৪মে ২০১৯ঃ কাউকে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ না বলতে এবং ‘মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দের আগে ‘ভুয়া’ শব্দটি ব্যবহার না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরবর্তীকালে জাতির এ সব শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের কেউ এটা করলে তাদের তলব করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত বিষয়ে করা রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে এ সময় আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

২০০২ সালের মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৭ (ঝ) ধারা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তি যদি জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদ নিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে, তাহলে সেটা ওই ব্যক্তির অপরাধ বা দোষ। প্রয়োজনে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার এ ভুলের কারণে সামগ্রিকভাবে সব মুক্তিযোদ্ধার যে অবদান, যে সম্মান, সেটাকে কটাক্ষ করে ‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ ব্যবহার করা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন বৈ আর কিছু নয়।

প্রসঙ্গত, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ এর কাউন্সিলের কার্যাবলি সংক্রান্ত ৭ (ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, সনদপত্র ও প্রত্যয়নপত্র প্রদানে এবং জাল ও ভুয়া সনদপত্র ও প্রত্যয়নপত্র বাতিলের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ।