বৃহঃ. মার্চ ২৮, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, রবিবার,১৮আগস্ট ,২০১৯ঃ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চামড়ার দরপতনের খেলায় যারা মেতেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সরকার।’

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

চামড়া শিল্পকে পরিকল্পিত ভাবে সরকার ধ্বংস করে দিচ্ছে বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব অভিযোগ করেছেন সরকার পাট ও চামড়া শিল্পকে ধ্বংষ করে দিচ্ছে। দেশের পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। আদমজি জুটমিল কারা বন্ধ করেছিল? ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে পাটকল বন্ধ করে দিয়ে বিএনপি একবার পাট শিল্পটাকে ধ্বংসের পথে নিয়েছে, আবার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে পাটকল বন্ধ করে দিয়ে পাট শিল্পকে ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আর বর্তমান সরকারের আমলে চামড়া শিল্পের রপ্তানি বহুগুণে বেড়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, সেই হিসেবে ট্যানারির সংখ্যা বাড়েনি। পরিবেশ সংরক্ষণের কারণে বহু ট্যানারি বন্ধ হয়ে আছে। এই সুযোগ নিয়ে একটি চক্র চামড়া দরপতনের খেলায় নেমেছে। সরকার এই চামড়ার দরপতনের খেলায় যারা মেতেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্তের সঙ্গে যারা জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য কমিশন গঠনের দাবি জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং পেছন থেকে যারা মদদ দিয়েছে, সেই সঙ্গে যারা মদদ দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করার দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিশ্বে অন্য রাষ্ট্রনায়কদের হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতের পাশাপাশি কমিশন গঠন করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে আছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল তথ্য জনগনের সামনে উত্থাপন করার স্বার্থে দ্রুত কমিশন গঠন করা দরকার।’

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব উমর ফারুক চৌধুরী,  ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।