শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,সোমবার,০৭অক্টোবর,২০১৯ঃ একদল শিক্ষার্থী রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবরারকে হল থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয়তলার সিঁড়িতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীরে পিটিয়ে হত্যার চিহ্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম-১ এর ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে। রুম থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আবরার ফাহাদকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। তাকে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নং রুমে হত্যা করা হয়। রুমটি থেকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। বাবা বরকত উল্লাহ এনজিও কর্মী। আর মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজে পড়ে। আবরার ফাহাদ শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরার ফাহাদের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ দেখতে পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল ও ফুয়াদ নামে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রাসেল ও ফুয়াদ বুয়েটের শিক্ষার্থী।

এদিকে, বুয়েটে ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনার প্রতিবাদে হল প্রভোস্ট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।