খােলাবাজার ২৪, শুক্রবার, ০৮নভেম্বর, ২০১৯ঃ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারনে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের দমকা হাওয়া বইছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনেক পর্যটক আটকা পড়েছে। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আটকে গেছে পর্যটকরা। তবে, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সমুদ্রে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সর্তকভাবে থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রামের আকাশ স্বচ্ছ্ব। বন্দরে পণ্য উঠানামার কাজ চলছে। এদিকে, জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ সজাগ আছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পর্যবেক্ষণে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পটুয়াখালী উপকূল জুড়ে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় মোট ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চলছে মাইকিংও।
পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ জেলার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থগিত রেখে শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরায় শুক্রবার ভোর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। তবে, বাতাসের গতিবেগ তেমন নেই। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন একশ’ ৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র এরই মধ্যে প্রস্তুত রেখেছে। উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ এলাকায় মাইকিং করে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।